Site icon Jamuna Television

ক্ষোভে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মগুলোও বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপর অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে বড় মাপের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির যথেষ্ট প্রভাব ও ক্ষমতা রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। খবর-এনপিআর

ট্রাম্পের মতে, সেক্ষেত্রে আমাদের স্বাধীনতা আর থাকবে না।’ তবে ট্রাম্পের এই হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে টুইটার।

ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। টুইটার এই প্রথম প্রেসিডেন্টের এক টুইট বার্তার নীচে পাঠকদের বার্তার সততা যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছিল। সেই বার্তায় ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে কারচুপি হবে বলে দাবি করেছিলেন।

খবরে বলা হয়, টুইটারের প্রধান জ্যাক ডরসে বুধবার বলেন, ট্রাম্পের বার্তার ফলে মানুষ ভুল পথে চালিত হতে পারেন। তারা মনে করতে পারেন, ভোট দেবার জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার প্রয়োজন নেই।

এমনই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প সোশাল মিডিয়া কোম্পানিগুলি সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করতে চলেছেন বলে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন। এছাড়া সামাজিক মাধ্যমগুলো এতদিন যেসব আইনে সুরক্ষা পেয়ে আসছে সেগুলোও নতুন করে পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন গোষ্ঠীর মতে, সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর কারণে ট্রাম্পের যে কোনো পদক্ষেপ সীমিত হতে বাধ্য। গত বছরই ট্রাম্প প্রশাসন রক্ষণশীল মতামতের ক্ষেত্রে একপেশে মনোভাব এড়াতে এক নির্বাহী আদেশ প্রস্তুত করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি কার্যকর হয়নি।

ফেসবুক কোম্পানির প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ফক্স নিউজ চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কোনো প্রশাসনের সেন্সরশিপ নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলে কোনো ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম সেন্সর করা মোটেই সঠিক ‘রিফ্লেক্স’ বা সহজাত আচরণ হতে পারে না।

তিনি অবশ্য ট্রাম্পের বার্তা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলায় টুইটারেরও সমালোচনা করেন। ফেসবুক অবশ্য পোস্টাল ব্যালট নিয়ে মঙ্গলবার ট্রাম্পের দাবি সম্পর্কে সরাসরি কোনো প্রশ্ন তোলেনি।

Exit mobile version