Site icon Jamuna Television

সিলেটে পিটিয়ে ৯টি বন্যপ্রাণী হত্যা

পিটিয়ে হত্যা করা ২টি বড় বাগডাশা, ৬টি শেয়াল ও ১টি বেজি

সিলেট প্রতিনিধি:

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুরে ৯টি বন্যপ্রাণী হত্যা করেছে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে ৬টি শেয়াল, ১টি বেজি, ২টি বড় বাগডাশা রয়েছে।

শুক্রবার সকালে ফতেহপুর ইউনিয়নের বালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পিটিয়ে প্রাণী হত্যার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হলে তা নজরে আসে বনবিভাগের। আর এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে তারা।

জানা যায়, বালিপাড়া গ্রামের পাশে ঘন জঙ্গল রয়েছে। গত কয়েকদিনের ঢলে সেই এলাকার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জঙ্গলের শেয়াল লোকালয়ে এসে হাঁস-মোরগ নিয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার স্থানীয় যুবক ও তরুণরা সমবেত হয়ে গ্রামের পাশের জঙ্গলে হানা দেয়। তারা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে শেয়াল, বেজি, বাগডাশাসহ ৯টি প্রাণীকে হত্যা করে।

ওই গ্রামের যুবক ও বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক কে এইচ জাকির শুক্রবার দুপুরে হত্যাকারী প্রাণীর কিছু ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন। এরপরই এনিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।

ছবিগুলোতে দেখা যায়, হত্যা করা প্রাণীগুলো মাটিতে লাইনধরে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রাণীগুলোর পাশে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য তরুণ ও শিশু।

বনবিভাগের জৈন্তাপুর রেঞ্জের কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন বলেন, আমি সন্ধার দিকে ফেসবুকে ছবিগুলো দেখেছি। সাথেসাথেই স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। শনিবার সকালে আমরাও সেখানে যাবো। ঢলের পানিতে বন্যায় খাবার সঙ্কট দেখা দেয়ায় কিছু শেয়াল এখন লোকালয়ে আসতে পারে। তবে তাদের হত্যা করা খুবই অন্যায় কাজ হয়েছে। কে এইচ জাকির ছাড়া এই ঘটনায় সম্পৃক্ত আর কাউকে এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, এই করোনাকালে মানুষের মতো প্রাণীরাও সঙ্কটে আছে। এখন প্রাণীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। অথচ আমরা পিটিয়ে তাদের হত্যা করছি। এটা জঘন্য অপরাধ। যারা এর সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।

এ ব্যাপারে বনবিভাগের সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা কাল ঘটনাস্থলে যাবেন। এ ঘটনায় মামলা হবে।

Exit mobile version