Site icon Jamuna Television

যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাব পরিহিত নারী বিচারক রাফিয়া আরশাদ

যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাব পরিহিত নারী বিচারক রাফিয়া আরশাদ

যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাব পরিহিত নারী বিচারক রাফিয়া আরশাদ।

প্রথমবারের মতো একজন মুসলিম হিজাব পরিহিত নারীকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে যুক্তরাজ্যে। নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকের নাম রাফিয়া আরশাদ। তিনি নিজেকে মুসলিম যুবতীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে দাঁড় করাতে চান। সূত্র: দ্যা ন্যাশনাল।

মিডল্যান্ডের ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট জাজ হিসেবে গত সপ্তাহে নিয়োগ পান তিনি। এর আগে, ১৭ বছর সফলভাবে আইনপেশায় ছিলেন ব্যারিস্টার রাফিয়া আরশাদ ।

১১ বছর বয়স থেকেই আইনজীবী হওয়ার লক্ষ্য স্থির করেন রাফিয়া। উত্তর ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে বেড়ে ওঠেন তিনি। বর্তমানে তার বয়স ৪০। তিন সন্তানের জননী রাফিয়া ছিলেন তার পরিবারের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ব্যক্তি। জোরপূর্বক বিবাহ, নারীদের যৌনাঙ্গহানিসহ ইসলামী আইন সম্পর্কিত অন্যান্য কেইস নিয়ে আইনচর্চা করে আসছিলেন তিনি।

রাফিয়া নিজের সম্পর্কে বলেন, আমার বর্তমান অবস্থা ব্যক্তি হিসেবে আমার চেয়ে অনেক বড়। হিজাব পরিধান করা শুধুমাত্র মুসলিম নারীদের জন্যই নয়; বরং সব ধর্মের নারীদের জন্য এটা জরুরি। তবে মুসলিম নারীদের জন্য এটা বিশেষভাবে প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যদিও আমাদের সমাজে সর্বত্র হিজাব পরিধান করাটা কঠিন। তবে একজন হিজাবী নারী হিসেবে আমি আনন্দিত। আমার এ আনন্দ আরও বেড়ে যায় যখন আমি দেখি যে, অনেক নারীর কাছ থেকে আমার ইমেইলে ম্যাসেজ আসছে। ম্যাসেজে তারা হিজাব পরিধান করার কারণে যেসব বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন সেগুলো লিখছেন।

মেট্রো নিউজ পেপারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাফিয়া আরও বলেন, তার পরিবার তাকে স্কলারশিপের জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় হিজাব পরিধান করতে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি হিজাব পরেই সাহসের সঙ্গে ইন্টারভিউ দিতে চলে যান, এবং সফলভাবে ইন্টারভিউতে পাশ করেন।

তিনি বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমি হিজাব পরেই ইন্টারভিউ দিতে যাবো। কারণ এতে করে কর্তৃপক্ষ সহজেই আমার মনোভাব বুঝতে পারবে। আর আমি মনে করতাম, আমার পেশার জন্য যদি নিজেকেই পাল্টে ফেলতে হয়, তাহলে ওই পেশা আমি করবো না।

রাফিয়া দাবি করেন, নারীদের জন্য হিজাব পরিধান করা কোনো জুলুম নয়; বরং এটা তাদের শক্তি ও আত্মমর্যাদাকে বাড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, হিজাব পরিধান করার কারণে সবাই আমাকে আলাদা চোখে দেখে।

সেন্ট মেরি ফ্যামিলি ল‘ চেম্বারের যৌথ প্রধান ভিকি হজেস ও জুডি ক্লাক্সটন বলেন, বিচারক পদে রাফিয়ার নিয়োগে আমরা আনন্দিত। রাফিয়া আইন ও আদালতে মুসলিম নারীদের জন্য কাজ করে সফল হয়েছেন। একজন আইনজীবী হিসেবে তিনি তার পেশায় ব্যক্তিগত বৈচিত্র্যসহ সবার সমতা বিধান করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।

Exit mobile version