Site icon Jamuna Television

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় উত্তাল আমেরিকা, ১৫ শহরে কারফিউ

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায়, প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় এ বিক্ষোভ সামাল দিতে, ক্যালিফোর্নিয়া-ওয়াশিংটনসহ ১২ রাজ্যে মাঠে নেমেছে ন্যাশনাল গার্ড। নিউইয়র্কসহ অন্তত ১৫ শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ। শক্ত হাতে অরাজকতা দমনের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও রাজপথ ছাড়েননি বিক্ষোভাকারীরা।

টানা পাঁচদিন ধরে চলা বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ, শনিবারও সহিংস রূপ নেয় যুক্তরাষ্ট্রে। দিন-রাত উত্তাল ছিল নিউইয়র্ক, সিয়াটল, লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহরগুলো। পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় আন্দোলনকারীরা।

জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিচার চাইতে, কারফিউ আর সেনাটহল উপেক্ষা করেই রাজপথে নামেন কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ নির্বিশেষে লাখো মার্কিনী।

এক বিক্ষোভকারী বলেন, “কারফিউ দিলেই নিজেদের বিশ্বাস থেকে তো আমাদের সরানো যাবে না। যে লক্ষ্যে রাজপথে নেমেছি, তা পূরণ হোক আগে। সূর্য উঠুক বা ডুবুক, দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাবো।”

বলা হচ্ছে, দুই দশকে এমন উত্তাল আন্দোলন আর দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল গার্ড মাঠে নেমেছে ১২ রাজ্যে। অন্তত ১৫ শহরে জারি রয়েছে কারফিউ। এ অস্থিরতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের।

অ্যাটর্নি জেনারেল ইলিয়াম বার বলেন, “জর্জ ফ্লয়েডের সাথে যা ঘটেছে, তাতে ক্ষোভের প্রকাশ যৌক্তিক। কিন্তু সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। অসাধু উদ্দেশ্য চরিতার্থে পূর্বপরিকল্পিতভাবে একদল বহিরাগত এ অশান্তি তৈরি করেছে।”

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “কট্টর বামপন্থি, খুনেরা জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালাচ্ছে। প্রতিবাদের নামে এসব গুণ্ডামি সহ্য করবো না। আমেরিকা ধ্বংস নয়, গড়তে হবে। সভ্য নাগরিকদের রক্ষায় শক্ত হাতে অরাজকতা দমন করা হবে।”

আটককৃতদের ৮০ শতাংশই অন্য অঙ্গরাজ্যের অধিবাসী বলে দাবি করেছেন মিনেসোটা গভর্নর। যদিও ডিটেনশন রেকর্ড বলছে, গেল পাঁচদিনে অন্য রাজ্যের মাত্র আটজন গ্রেফতার হয়েছে।

২৫ মে’ পুলিশের পায়ের নিচে দম আটকে মারা যান ফ্লয়েড। এ ঘটনায়, অভিযুক্ত ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে নীরব ভূমিকায় থাকা বাকি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেই ক্ষান্ত হয় মিনেপোলিস প্রশাসন।

Exit mobile version