Site icon Jamuna Television

খুলনা মেডিকেলে নমুনার স্তুপ, টোকেন নিতেই লাগছে ৪-৫ দিন

খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে একদিনে করোনা পরীক্ষার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১৮৮টি। তবে সময়মতো পরীক্ষা না হওয়ায় নমুনার স্তুপ জমেছে পিসিআর ল্যাবে।

এদিকে সময়মতো পরীক্ষা না হওয়ায় নমুনাগুলো কার্যকারিতা হারানোর পাশাপাশি করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ-পজেটিভ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির আশংকা করছেন চিকিৎসকরা। সেইসাথে রয়েছে সংক্রমণের ঝুঁকিও।

অন্যদিকে খুলনা মেডিকেলের ফ্লু-কর্ণারে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানুষের ভিড় দেখা যায়। তাদের দেয়া হচ্ছে টোকেন। তার মাধ্যমে আগন্তকরা জানতে পারছেন- কবে, কখন হবে করোনা পরীক্ষা? ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কোন কোন ক্ষেত্রে শুধুমাত্র টোকেন নিতেই সময় লাগছে ৪-৫ দিন। ফলে করোনা পরীক্ষা করাতে এসে বাড়ছে ভোগান্তি, রয়েছে সংক্রমণের ঝুঁকিও।

আগে শুধুমাত্র খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের করোনা রোগীদের পরীক্ষা হতো কলেজের পিসিআর ল্যাবে। সম্প্রতি এসব জেলার সাথে যুক্ত হয়েছে যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ আরও কয়টি জেলা। ফলে প্রতিনিয়ত করোনা নমুনার স্তুপ জমছে। অনেক সময় করোনা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেলে, তিনি আক্রান্ত কিনা তা জানতেও সময় লাগছে।

তবে হাসপাতালের পরিচালক মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার জানান, করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়ায় পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে এই জটিলতা দূর করতে জেলাগুলোকে জোন হিসেবে ভাগ করার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Exit mobile version