
করোনার বিস্তার ঠেকাতে এখন থেকে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের চিন্তা করছে সরকার। এক্ষেত্রে সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকাকে গ্রিন, ইয়েলো ও রেডজোনে ভাগ করে আংশিক অথবা পুরোপুরি লকডাউন করার পরিকল্পনা চলছে। এ বিষয়ে একটি তালিকাও সরকারি ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।
তালিকায় ঢাকার ৩৮টি এলাকাকে আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তবে লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) বলে দেখানো হচ্ছে ১১টি এলাকাকে। এখন পর্যন্ত পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) হিসেবে কোনো এলাকাকে দেখানো হচ্ছে না। অবশ্য, ওয়েবসাইটে তালিকা দেয়া হলেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা আসেনি।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন যমুনা নিউজকে জানিয়েছেন, ঝুঁকি বিচারে এই জোনগুলো ভাগ করার চিন্তাভাবনা চলছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি।
তিনি মনে করেন, পরিকল্পিতভাবে যত দ্রুত এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যাবে সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য ভালো হবে।
বাংলাদেশ সরকারের করোনা আপডেট সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে আংশিক লকডাউন ঘোষিত এলাকাগুলো হলো- আদাবর থানা, উত্তরা পূর্ব থানা, উত্তরা পশ্চিম থানা, ওয়ারী থানা, কদমতলী থানা, কলাবাগান থানা, কাফরুল থানা, কামরাঙ্গীরচর থানা, কোতয়ালী থানা, খিলক্ষেত থানা, গুলশান থানা, গেন্ডারিয়া থানা, চকবাজার থানা, ডেমরা থানা, তেজঁগাও থানা, তেজঁগাও শিল্পাঞ্চল থানা, দক্ষিণখান থানা, দারুস সালাম থানা, ধানমন্ডি থানা, নিউমার্কেট থানা, পল্টন মডেল থানা, পল্লবী থানা, বংশাল থানা, বাড্ডা থানা, বিমানবন্দর থানা, ভাটারা থানা, মিরপুর মডেল থানা, মুগদা থানা, মোহাম্মদপুর থানা, যাত্রাবাড়ী থানা, রমনা মডেল থানা, লালবাগ থানা, শাহআলী থানা, শাহজাহানপুর থানা, শেরেবাংলা নগর থানা, সবুজবাগ থানা, সূত্রাপুর থানা, হাজারীবাগ থানা।
ওয়েবসাইটে লকডাউন নয় এমন এলাকাগুলো হলো- উত্তরখান থানা, ক্যান্টনমেন্ট থানা, খিলগাঁও থানা, তুরাগ থানা, বনানী থানা, ভাষানটেক থানা, মতিঝিল থানা, রামপুরা থানা, রূপনগর থানা, শাহবাগ থানা, শ্যামপুর থানা।



Leave a reply