Site icon Jamuna Television

করোনা মোকাবেলায় থোক বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা

করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় আগামী বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে বাজেট বক্তৃতা পেশ করেন। এর বাইরে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য মোট ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে আমরা ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় বর্তমানে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ মহামারি মোকাবেলায় যা করণীয় তার সবকিছুই করবে সরকার। আগামী অর্থবছরে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।

বাজেট অধিবেশনে বলা হয়, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে জনজীবনকে সুরক্ষার লক্ষ্যে ন্যাশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন শুরু করা হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিশেষায়িত আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীতে ১৪টিসহ প্রতিটি জেলা শহরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল স্থাপন ও চালু করা হয়েছে। করোনা রোগ নির্ণয়ের জন্য এ পর্যন্ত ৫৫টি ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহকে আধুনিকীকরণ ও উন্নততর সেবা প্রদান প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এর জন্য আমরা জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য খাতে ৫২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছি। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সেবা প্রদানকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান, প্রণোদনা এবং ক্ষতিপূরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা।

করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ দায়িত্ব পালনকালে ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুজনিত কারণে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানী বাবদ মোট ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২ হাজার ডাক্তার, ১ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ৩৮৬ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, ২ হাজার ৬৫৪ জন ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্টসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া রাজস্ব খাতে ১ হাজার ২০০ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, ১ হাজার ৬৫০ মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান এবং ১৫০ কার্ডিওগ্রাফারসহ মোট ৩ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।

Exit mobile version