Site icon Jamuna Television

বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নাসিম

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় ধানমন্ডির সোবাহানবাগ জামে মসজিদে প্রথম জানাজা এবং সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হলো।

এর আগে, জানাজা শেষে নাসিমকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে বর্ষীয়ান এই নেতার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদেন করা হয়। এছাড়া, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় জানাজায় দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপকভাবে উপস্থিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু নেতা-কর্মী জানাজায় উপস্থিত হয়েছিলেন।

এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতার দিকটি বিবেচনায় নিয়ে নাসিমের লাশ তার সিরাজগঞ্জের বাড়িতে নেয়া হয় নি বলে জানিয়েছেন তার ছেলে তানভীর শাকিল জয়।

এর আগে শনিবার বেলা ১১ টা ১০ মিনিটে এ বর্ষীয়ান নেতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেসহ অসংখ্য নেতাকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. এসএ মালেক ও আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হকইনুসহ মন্ত্রী সভার সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

পয়লা জুন রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে রাতে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম পাঁচ জুন ভোরে স্ট্রোক করেন।

পরে জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে প্রথমে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেন। পর্যবেক্ষণের সময় আরও ৭২ ঘণ্টা বৃদ্ধি করা হয়।

এর পরে অবশ্য তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে। ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়।

Exit mobile version