Site icon Jamuna Television

একইদিনে দুই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যু; শ্রদ্ধা জানাতে যেতে না পারার কষ্টের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

‘এখন একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ চলছে। সরাসরি গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারলাম না। ফুল দিতে পারলাম না। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাবো, সেটিও পারলাম না। এটা খুবই দুঃখজনক।’ আওয়ামী লীগের দুই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে সরাসরি গিয়ে শ্রদ্ধা না জানাতে পারায় এভাবেই সংসদে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমি সংসদে আসবো এটা জেনে অনেকে বাঁধা দিয়েছেন। বলেছেন, যাবেন না। কিন্তু আমি গুলি, বোমা, গ্রেনেড কতো কিছুই তো মোকাবেলা করে এসেছি। শুধু মৃত্যুর ভয়ে আমি সংসদে আসবো না? পরিবারের একজন সদস্য, একজন সংসদ সদস্যকে হারালাম আর আমি আসবো না! এসময় তাদের পরিবারকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানান তিনি।

দু’জনের চলে যাওয়া বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য বিরাট ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে সব সময় মোহাম্মদ নাসিমকে পাশে পেয়েছি। রাজনীতির পথ খুব কঠিন। এই পথে যারা সব সময় পাশে থেকেছে, এমন দুজনকে একই দিনে হারালাম। মোহাম্মদ নাসিম ও শেখ মো. আব্দুল্লাহর চলে যাওয়া বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য বিরাট ক্ষতি।

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি মানুষের জীবন চালানোর ব্যবস্থাও নিতে হবে। এখন যেসব জায়গা বেশি সংক্রমিত ওইসব জায়গা লকডাউন করেছি। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও চালিয়ে যাচ্ছি। এটিকে করোনার বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সাথে তুলনা করেন শেখ হাসিনা।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. শেখ আব্দুল্লাহ ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

এর আগে, সংসদে বাজেট অধিবেশনে দিনের কার্যসূচীর শুরুতে স্পীকার শিরিন শারমিন চৌধুরী মোহাম্মদ নাসিম ও ধর্ম মন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেন। পরে আলোচনায় অংশ নেন, মোহাম্মদ নাসিমের অন্যতম রাজনৈতিক সহযোদ্ধা মতিয়া চৌধুরী, মৃনাল কান্তি দাসসহ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা। মতিয়া চৌধুরী বলেন, করোনার এই সংকটকালে মোহাম্মদ নাসিমের চলে যাওয়ায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়।

ধর্মমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলেও জানান মতিয়া চৌধুরী। এসময় তাদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

Exit mobile version