Site icon Jamuna Television

‘ধার মেটাতে হচ্ছে, বেতন দিতে পারব কি না জানি না’, পরিচারককে বলেছিলেন সুশান্ত

বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট যেন খুলছেই না। এবার আনন্দবাজার পত্রিকা সামনে নিয়ে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা জানায় সুশান্ত নাকি ভীষন অর্থকষ্টে ভুগছিলেন।

চারিদিকে তার বাকি ছিল ধার দেনাও। এমনটাই নাকি জানিয়েছেন তার পরিচারক। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি।

মৃত্যুর দিন দশেক আগে থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। কারও সঙ্গে সে ভাবে কথাও বলছিলেন না তিনি। ওই পরিচারক আরও জানান, যেহেতু বাজারে থাকা ধার মেটাতে হচ্ছে তাকে, তাই এই মুহূর্তে তাঁদের বেতন মেটাতে পারবেন কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন সুশান্ত।

জানা গিয়েছে, মৃত্যুর দিন ভোর সাড়ে ছ’টায় ঘুম থেকে উঠেছিলেন সুশান্ত। এর পর সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ জুস খেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। এর পর হাজার বার দরজায় কড়া নাড়া সত্ত্বেও সাড়া পাওয়া যায়নি তাঁর।

এসময় সাড়া না পেয়ে পরে দুপুর নাগাদ খাবার নিয়ে ফিরে আসেন ওই পরিচারক। তখনও একই ঘটনা। বার বার দরজা ধাক্কানোর পরেও অভিনেতা সাড়া না দেওয়ায় তিনি ফোন করেন গুরুগ্রামে থাকা সুশান্তের বোনকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এর পরেই লক ভাঙার মিস্ত্রী ডেকে খোলা হয় সুশান্তের ঘরের দরজা। দরজার ওপারে তখন সিলিং থেকে ঝুলছিলো তার মরদেহ।

তবে মুম্বাই পুলিশ জানায়, সুশান্তের ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে এখনও পর্যন্ত কোনও অস্বাভাবিক লেনদেন চোখে পড়েনি। এমনকি তাঁর বোনও জানিয়েছেন, অর্থকষ্টে ভুগছিলেন না তিনি।

১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি পটনায় জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। পরবর্তীকালে দিল্লিতে চলে যায় তার পরিবার। দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি হন। কিন্তু সেইসময় থেকেই থিয়েটারের দিকে ঝোঁকেন তিনি। নাচও শেখেন। তার জন্য পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি।

Exit mobile version