Site icon Jamuna Television

করোনা নমুনা সংগ্রহকারী সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে এলেন মাশরাফী

ফাইল ছবি

নড়াইলে করোনা নমুনা সংগ্রহকারী সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে এলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। জেলায় করোনা নমুনা সংগ্রহে ৯ জন বেসরকারি বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিক্যাল ক্লিনিকে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের মাসিক সহায়তা প্রদান করবে মাশরাফীর নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন।

এছাড়া করোনা নমুনা সংগ্রহের কাজে ফাউন্ডেশনের এ্যাম্বুলেন্সটি সহায়তা দেবারও সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার বিকেলে সিভিল সার্জন অফিসে সিভিল সার্জন ডা. মোঃ আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফাউন্ডেশন থেকে এ পর্যন্ত ৯২১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২জন। মারা গিয়েছেন ২জন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সুব্রত কুমার, কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিক, ডা. সৈয়দ শফিক তমাল, নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ও নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলু, নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ মির্জা নজরুল ইসলাম, ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ইস্রাফিল খবির রাজু, বেসরকারি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও প্যাথলজি মালিক সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ কুমার সান্যাল প্রমুখ।

কালিয়া উপজেলায় ২ জন, লোহাগড়া উপজেলায় ২ জন এবং সদর উপজেলায় ৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই ৯ জন সরকারি মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের পাশাপাশি করোনা নমুনা সংগ্রহে কাজ করবেন।

এর আগে গত রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার সভাপতিত্বে এক সভায় মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় নড়াইল-২ আসনের এমপি এবং নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ক্রিকেট তারকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ভিডিও কলে করোনা নমুনা সংগ্রহে বেসরকারি মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা বলেন।

জানা গেছে, জেলায় করোনা নমুনা সংগ্রহে অভিজ্ঞ সরকারি মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট-এর (ল্যাব) ৮টি পদের বিপরীতে রয়েছেন ৪ জন। কালিয়া উপজেলায় ৩টি পদের সবকটি শূন্য। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি পদের মধ্যে একটিই শূন্য। লোহাগড়া উপজেলায় দু’টি পদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে ছুটিতে। এ অবস্থায় সারা জেলায় প্রতিদিন প্রয়োজন অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এ সংকট মেটাতে মাশরাফী এগিয়ে এলেন।

Exit mobile version