Site icon Jamuna Television

মায়ের স্বপ্ন ছিল জজ হবেন, মাকে বাঁচাতেই খুন হন রাজিব

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করা রাজিবকে নিয়ে মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে একদিন জজ হবে। সেই মাকে বাঁচাতেই খুন হলেন তিনি।

পারিবারিক কলহে চাচাতো ভাইয়ের হাতে খুন হওয়া মেহেদী মোস্তফা রাজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও টাঙ্গাইলে ভূঞাপুরের গাড়াবাড়ি গ্রামের সন্তান। তিনি ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সাথে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে তার চাচাতো ভাই জিহাদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জিহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে তার মাকে আঘাত করতে গেলে বাঁধা দেয় রাজিব। এসময় রাজিব কিছু বুঝে উঠার আগেই জিহাদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন হতে হয় তাকে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে রাজীবের মায়ের সঙ্গে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই জিহাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জিহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা ছুরি এনে রাজীবের মাকে আঘাত করার সময় রাজিব বাধা দিলে তাকেই ছুরিকাঘাত করে জিহাদ। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে রাজিবের মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিবার জানায়, ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর দাফন সম্পন্ন করা হয় রাজিবের।

এ ঘটনার পর, রাজিবের বাবা গোলাম মোস্তফা দুলাল বাদি হয়ে জিহাদকে প্রধান ও তার দুই ভাই এবং মায়ের নাম উল্লেখসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে অপরাধীরা সবসময় অপরাধ করতেই থাকবে তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন তিনি আমার সন্তানের হত্যাকারীর ব্যাপারে নজর দেন।

এবিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম যমুনা নিউজকে বলেন আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামিরা সকলেই পলাতক রয়েছে তবে অতি দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ।

Exit mobile version