Site icon Jamuna Television

করোনায় মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ শুল্কায়ন

করোনা মহামারিতে থমকে গেছে উৎপাদন। করোনা ভাইরাস মহামারিতে চাহিদা না থাকায়, বন্ধ হয়েগেছে উৎপাদন। শ্রমিকদের পাওনা চুকিয়ে দিয়ে বিদায় দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারখানাও। এর মাঝেই মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ শুল্কায়ন।

উদ্যোক্তারা বলছেন, নতুন বাজেটে আগাম কর বহাল রাখলে, প্রথম প্রান্তিক কারখানায় উৎপাদন শুরু কঠিন হবে। রাজস্ব কাঠামোতে পরিবর্তনের ফলে বাড়বে চাপ। তাই শিল্পে দ্রুত উৎপাদন বাড়াতে শুল্ক ব্যবস্থায় ছাড় দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

বলা হচ্ছে, আগামী অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই স্বাভাবিক হবে সবকিছু। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি সঞ্চারে বড় বাধা হয়ে সামনে এসেছে শুল্কায়ন। আগাম কর বহাল থাকায় কঠিন হবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা। এক শতাংশ আগাম কর কমানো হলেও তথ্য-উপাত্ত সরবরাহে বাড়বে ভোগান্তি। এছাড়া অনুমতি ছাড়াই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দিতে পারবেন কর্মকর্তারা। ভ্যাট বিরোধ নিস্পত্তি করতে ব্যয় করতে হবে দিগুন অর্থ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজেটে বড় ধরণের কর ছাড় দেয়া হয়নি। যারা নিয়মিত কর দেয় তাদের জন্য ব্যবসায় সংকট বাড়াবে অগ্রিম করারোপ। করফাঁক রোধ করার ক্ষেত্রে অটোমেশনের বিকল্প নেই। কর দেয়া এবং আদায়ের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেরই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

Exit mobile version