Site icon Jamuna Television

‘করোনা থেকে সুস্থ হলেই ইমিউনিটি সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন এমন ভাবাটা ঠিক নয়’

ছবি: প্রতীকী

কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠলেই কেউ ‘ইমিউনিটি সার্টিফিকেট’ পেয়ে যাবেন এমন ভাবাটা ঠিক নয়। নেচার মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করেছে একদল গবেষক। তারা জানান, করোনা থেকে একজন মানুষ সুস্থ হওয়ার পরে শরীরে ভাইরাসটির অ্যান্টিবডি ২-৩ মাস স্থায়ী থাকে। এত কম মাত্রার প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্বিতীয়বার করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সমর্থ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন গবেষকরা।

চীনের ওয়াঝু জেলায় উপসর্গবিহীন করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা ৩৭ জন ও উপসর্গসহ করোনো থেকে সেরে উঠা ৩৭ জনের মধ্যে অ্যান্টিবডির তুলনা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, উপসর্গসহ করোনায় আক্রান্তদের থেকে উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্তদের অ্যান্টিবডি দুর্বল।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে দেখা গেছে, উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি ৪০ শতাংশ কমে গেছে। অন্যদিকে, উপসর্গসহ করোনায় আক্রান্তদের অ্যান্টিবডি কমেছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।

বলা হচ্ছে, যদিও এই গবেষণাটি ছোট আকারের, গবেষকরা কিছু বিশ্বনেতাদের প্রতি ইমিউনিটি পাসপোর্টধারীদের বিষয়ে পুনরায় চিন্তা করার আহবান জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু দেশ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি থাকা অর্থাৎ করোনা থেকে সেরে উঠা ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্ত সনদ দিয়ে থাকে। তারা পুনরায় রোগ প্রতিরোধে সক্ষম ধরে নিয়ে ভ্রমণ বা কাজে ফের যোগদান করছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির মূল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন। যেখানে একজন ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার পদ্ধতি (ইমিউনিটি সিস্টেম) কীভাবে প্রকাশ পায়।

করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ফের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কিনা বিজ্ঞানীরা এমন প্রশ্নের সমাধান দিতে পারেননি। বিজ্ঞানীরা এখনো অনিশ্চিত যে, মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি কতদিন থাকে বা এই অ্যান্টিবডি কতদিন সুরক্ষা দিতে পারে।

Exit mobile version