Site icon Jamuna Television

ঝিনাইদহে বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। সরকারি মূল্য থেকে বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় এবারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেখ আনোয়ারুল করিম জানান, এ বছর জেলার ৬ উপজেলা থেকে ১৪ হাজার ১৪২ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১২১ টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। কার্ডধারী, অ্যাপসের মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষক এবার ধান দিচ্ছে না। যার মূল কারণ হিসেবে ধরণের বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করছে না।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একমাস আগে বোরো ধান ঘরে তুলেছে কৃষক। ভরা মৌসুমেও প্রকার ভেদে ধানের দাম ১ হাজার থেকে ১২’শ টাকা বিক্রি হয়েছে। বর্তমান বিভিন্ন হাটবাজারে একই দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। এবার সরকারি সংগ্রহ মূল্য ধার্য করা করা হয়েছে প্রতি কেজি ২৬ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মন এক হাজার ৪০ টাকা। যে কারণে কৃষক ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করছে।

সদর উপজেলার হাটগোপালপুরের কৃষক শাহ আলম বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করলে পাবো ১ হাজার ৪০ টাকা। সেখানে গেলেও ধান ভিজা আছে, চিটা আছে বলে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। এখন বাজারে ধানের দাম বেশি বলে ধান বিক্রি করে দিয়েছি।

শৈলকুপার খন্দকবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক আবিদুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছর ধানের দাম কম হওয়ার কারণে আমরা ধান বিক্রি করতে গেলে দালাল চক্র আমাদের ধান বিক্রি করতে দিতো না। তাই এবার ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমরা ধান দিচ্ছি না।

জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না এটা ঠিক তবে। ধান সংগ্রহ’র অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যে কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল নিশ্চিত করা। কৃষক ধানের দাম ভালো পেয়েছে এটাই ভালো।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, চলতি বছর এ জেলায় ৭৭ হাজার ৫৩৫ হেক্টরে বোরো চাষ হয়েছে। আর ধান উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ টন। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বেশ কিছু ধানের ক্ষতি হয়েছে। তবে সেটা বেশি না। এবার কৃষক ধানের দাম ভালো পেয়েছে। এতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে। আর দাম ভালো পাওয়ায় আগামীতে ধান চাষে তারা আগ্রহী হবে।

Exit mobile version