Site icon Jamuna Television

ট্রাম্পের হুশিয়ারির পর পাকিস্তানের পাশে চীন

গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, আফগানিস্তানে উগ্রবাদী ইসলামপন্থিদের টেকাতে তিনি আরও সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত। এক্ষেত্রে আফগান সরকার, পাকিস্তান ও ভারতের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। যে করেই হোক সন্ত্রাসীদেরকে তিনি পরাজিত করতে চান।

একই সাথে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে ট্রাম্প বলেছেন, পাকিস্তান যদি ‘সন্ত্রাসী’দেরকে মদদ দেয়া বন্ধ না করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র নীরব বসে থাকবে না।

এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনও বলেছেন, পাকিস্তান যদি তালেবানের প্রতি নিজেদের নীতি পরিবর্তন না করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে দেশটি।

অপরদিকে পাকিস্তানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ট্রাম্পের দেয়া বক্তব্যের পাল্টা হিসেবে ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বেইজিং। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র হুয়া চানিং বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান সব সময় সামনের সারিতে ছিল এবং এ কাজে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের এই অবদানের স্বীকৃতি দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে চানিং আরও বলেন, আমরা মনে করি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অবদানকে সবাই স্বীকার করতে হবে।

‘বিশ্ব এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য যদি যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান পরস্পরের প্রতি সম্মান রেখে কাজ করে যায়, তাতে আমরা খুশি হবো’, বলেছেন চীনের মুখাত্র।

ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ট মিত্রদের অন্যতম ইসলামাবাদকে সামরিক খাতে বছরে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেয় ওয়াশিংটন। অন্যদিকে চীন ও পাকিস্তান উভয়ে নিজেদেরকে ‘সর্বাবস্থার মিত্র’ বলে মনে করে। দুই দেশের কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট।

সমালোচনকরা আফগান তালেবানকে সমর্থন বা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তবে দেশটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

/কিউএস

Exit mobile version