Site icon Jamuna Television

প্রথমে ডাকাতি, পরে লুটের টাকা করোনা চিকিৎসা তহবিলে দান!

প্রথমে ফিল্মি কায়দায় ডাকাতি পরে অনুদানের নামে থানায় টাকা নিয়ে হাজির ডাকাতদলের মূল হোতা। অভিযানে ৬ জনকে ধরা হলেও রহস্যজনকভাবে আসামি তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল মালিক দস্তগীরকে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে চট্টগ্রামে। নিজ এলাকার মানুষের কাছেও দস্তগীর এক মূর্তিমান আতঙ্ক।

বন্দরনগরীর ওয়াসা এলাকায় গেলো ১৬ জুন এক সিএন্ডএফ এজেন্টের ৫ লাখ টাকা লুটে নেয় ৬ ডাকাত। করোনার মধ্যে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পুলিশ যখন হন্য হয়ে আসামি খুঁজছে, তখন স্বয়ং ডাকাত দলের অন্যতম হোতা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মাসুদ থানায় হাজির, একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে করোনা সহায়তার অর্থ তুলে দেয় পুলিশের হাতে।

তবে ৩ দিন পর ধরা পড়ে মাসুদ ও তার ৫ সহযোগী। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। কিন্তু ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের মালিক সাইফুদ্দিন দস্তগীরকে আসামি না করায় নানা প্রশ্ন উঠেছে ।

পুলিশের দাবি, মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায় অথচ অভিযানকারী টিমের ছবিতে দেখা যায় আনোয়ারা উপজেলায় দস্তগীরের বাড়ি থেকেই এটি উদ্ধার হয়েছে। সরেজমিনে তার বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজনও তা স্বীকার করেন। একই কথা এলাকার মানুষেরও। মোটর সাইকেল নিজের বলে স্বীকার করেন দস্তগীরও।

এর আগে আনোয়ারা থানায় বিস্ফোরক ও জমি দখলের দুটি মামলার আসামি দস্তগীর। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নাম ভাঙিয়ে তার নানা অপকর্মে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ। ভয়ে মুখ খুলতে চাননা অনেকে।

ডাকাতির ঘটনায় জড়িত কাউকে আসামি না করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান সিএমপির ডিসি মেহেদি হাসান।

ধরা পড়ার আগে একই কায়দায় চট্টগ্রামে আরো তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।

Exit mobile version