Site icon Jamuna Television

এবার ৫৮টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র

চীনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের বিষয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতের দেখানো পথেই হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকসহ চীনের অন্তত ৫৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। এদিকে ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবার চীনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে টিকটক। হংকংয়ে বেইজিংয়ের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে অঞ্চলটিতে শিগগিরই নিজেদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএনের।

করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণ, প্রায় দুই বছর ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধ ও হংকং ইস্যুতে চীনে পাস হওয়া নতুন আইন নিয়ে বর্তমানে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের। এদিকে লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর চীন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ নতুন মাত্রা নিয়েছে। তারই জের ধরে গত সোমবার বেশকিছু চীনা অ্যাপ বন্ধ করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ও জনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর’ হিসেবে অভিহিত করে ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়। ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার পরই টিকটক কর্তৃপক্ষ জানায়, কিছুদিনের মধ্যেই তারা হংকংয়েও ব্যবসা বন্ধ করে দেবে। প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, চীন সরকার তাদের কাছে হংকংয়ে বসবাসকারী নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য চেয়েছিল। সেই কারণেই তারা সেখানে ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চীনা অ্যাপের ব্যাপারে ভারতের পথেই হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার ফের করোনাভাইরাসে আমেরিকা ও বিশ্বজুড়ে বিপর্যয়ের জন্য চীনকে দায়ী করে তোপ দাগেন ট্রাম্প। এর কিছুক্ষণ পরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানান, টিকটকসহ চীনের বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ মার্কিন মুলুকে নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। সোমবার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পম্পেও বলেন, ‘আমি এখনই বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এখনও কোনো আলোচনা করিনি। কিন্তু পুরো বিষয়টাই আমাদের বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বসহকারে এটা দেখা হচ্ছে।’ গত কয়েক মাস ধরেই মার্কিন কংগ্রেসের অনেক সদস্যই অভিযোগ জানিয়ে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরির মাধ্যমে চীন জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করতে পারে। অভিযোগের পক্ষে তাদের যুক্তি, ‘চীনের আইন অনুযায়ী, দেশটির প্রতিটি কোম্পানিকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কথা মেনে চলতে হবে।

Exit mobile version