Site icon Jamuna Television

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা

দুর্নীতি, নাশকতা, মানহানির দায়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৩৬। এরমধ্যে চার্জশিট হয়েছে ১৯ টির। স্থগিত রয়েছে ১২ টি মামলার বিচার। কয়েকটি মামলা রয়েছে তদন্তের পর্যায়ে।

বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর আকস্মিকভাবে রাজনীতিতে আবির্ভাব খালেদা জিয়ার। ৮৪ সালে নির্বাচিত হন দলের চেয়ারপারসন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ভাবমূর্তি নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন ৯১ সালে।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে প্রথম দফায় কয়েকটি মামলা হয়, ২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভরা ডুবি হলে, সঙ্কট ঘণীভূত হয়। ৫ বছর পর ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। সমালোচিত হয়, নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত। এসবের মাঝে বেড়েছে মামলার সংখ্যা।

তত্ত্বাবধায়ক আমলে দুর্নীতির মামলা হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হত্যা- নাশকতা ও সহিংসতার পাশাপাশি মানহানি, ভুয়া জন্মদিন পালনসহ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার মামলাও হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার পর বিচার শেষের পর্যায়ে রয়েছে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা।

দুর্নীতি মামলা:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট,বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি,গ্যাটকো,নাইকো ও ভৈরব সেতু দুর্নীতির মামলা

হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার মামলা :

নাশকতা ও হত্যার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার ৩ টি মামলা
বিশেষ ক্ষমতা আইনে দারুস সালাম থানায় ৯ টি মামলা
সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে গুলশান,কুমিল্লা খুলনায় ৪ মামলা

মানহানি ও ভুয়া জন্মদিনের মামলা :

২০১৬ সালের ৩০ আগষ্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী সিএমএম আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন
২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী
১৫ আগষ্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগ, স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানির অভিযোগ,এবং মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মামলা হয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে।

Exit mobile version