Site icon Jamuna Television

পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে বাকিদেরও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়: ড. বিজন শীল

ড. বিজন কুমার শীল।

একই মানুষের দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি নেই বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞানী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের র‍্যাপিড টেস্ট কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীল। তার মতে, ঢাকায় করোনা সংক্রমণের ‘পিক বা সর্বোচ্চ মাত্রা’ পার হয়ে গেছে। যমুনা নিউজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আর ভুল না করলে রাজধানীতে খুব বেশি মানুষ সংক্রমিত হবে না। ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে।

ড. বিজন শীলের মতে, পরিবারের কেউ কোভিডে আক্রান্ত হলে বাকিদের শরীরেও অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। তার পরামর্শ, প্রকৃত অবস্থা জানতে অ্যান্টিবডি টেস্ট করতে হবে দ্রুত।

তিনি বলেন, কী পরিমাণ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে সেটি জানতে একটি স্টাডি করা প্রয়োজন। এর ভিত্তিতে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। এজন্য, অ্যান্টিবডি টেস্ট করা জরুরি।

গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের অনুমোদন নিয়েও দারুণ আশাবাদী তিনি। জানান, আরও আপগ্রেড করে ল্যাবে ৯৭ শতাংশ নির্ভুল ফলাফল দিয়েছে কিট।

দেশে চলমান ভ্যাকসিন গবেষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এই গবেষক। তবে, তার মতে দ্রুতই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে না। এজন্য বেশ কয়েকদফা হিউম্যান ট্রায়াল ও এটি কতটুকু অ্যান্টিবডি তৈরি করছে, তা কতটুকু কাজ করছে সেটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এজন্য সময় লাগবে।

ড. বিজন বলেন, এই মহামারিতে কাজে না লাগলেও পরবর্তী মহামারি ঠেকাতে ভ্যাকসিন কাজে লাগবে। ভ্যাকসিন থাকলে এমন মহামারি পরিস্থিতি আমরা ঠেকাতে পারতাম। তবে, এই মহামারিতে ভ্যাকসিন কাজে আসবে বলে আমি মনে করি না।

সম্প্রতি, করোনা চিকিৎসায় ফ্যাভিপিরাভির ওষুধে সাফল্য পাওয়ার দাবি উঠলেও ড. বিজনের মতে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো এত সহজ নয়। এ ধরনের গবেষণাকে সাধুবাদ জানালেও তিনি বলেন, আমার মতে প্লাজমা থেরাপি এর চেয়ে বেশি কার্যকর। রোগীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সে অনুযায়ী তাকে বিভিন্ন ধরনের থেরাপি দেয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা করোনা প্রতিরোধে অধিক কার্যকর।

আসন্ন ঈদে যেন করোনা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান এই গবেষকের।

Exit mobile version