Site icon Jamuna Television

বন্ধুরা বলে আমাকে দেখলে বাঙালি মনে হয়: নিত্যা মেনন

ছবি: সংগৃহীত

বেঙ্গালুর মেয়ে নিত্যা মেনন এখন বলিউডের পরিচিত মুখ। কন্নড়, মালায়লাম, তামিল, তেলেগু ভাষায় একাধিক ছবিতে অভিনয় করার পরে বলিউডে তার ডেবিউ ‘মিশন মঙ্গল’ দিয়ে।

মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘ব্রিদ ইনটু দ্য শ্যাডোজ’। সিরিজে তিনি কাজ করেছেন আভার চরিত্রে, অভিষেক বিপরীতে। আপাতত বেঙ্গালুর বাড়ি থেকেই ফোনে সিরিজের প্রচারের কাজ সারছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

লকডাউনে অবসর কাটছে কী করে? এমন প্রশ্নের উত্তরে মেনন বলেন, “আমাদের বাড়ির অনেকটা জায়গা জুড়ে বাগান। তাই অনেক রকম পাখি আসে। সারাটা দিন ওদের কিচিরমিচির শুনেই কেটে যায়।”

তার সঙ্গে আগামী সিরিজ নিয়ে রয়েছে একটু টেনশন। সিরিজে নিত্যাকে দেখা যাবে মায়ের ভূমিকায়। কিন্তু তা নাকি হিমশৈলের মাথাটুকু! নিত্যার কথায়, “যদিও ট্রেলার দেখে মনে হচ্ছে আমি একজন মা। কিন্তু সেটা আমার চরিত্রের একটা ছোট অংশ। আসল চরিত্রটায় অনেক পরে রয়েছে। বলতে গেলে, “ইয়ে তো সির্ফ ট্রেলার হ্যায়, পিকচার আভি বাকি হ্যায়।”

মণি রত্নমের ছবি ‘ওকে কানমানি’ করার সময়েই ময়ঙ্ক শর্মার নজরে পড়েন তিনি। তারপরেই এই সিরিজের প্রস্তাব পান। বিভিন্ন ভাষায় কাজ করার শখ নিত্যার বরাবরের। ফলে রাজি হয়ে যান তিনি।

ছবির সেটের মুহূর্তগুলো মনে করে নিত্যা হেসে বললেন, “সেটে অভিষেক এতো ঠাট্টা করত, আমাদের শট দেওয়ার কথা মনেই থাকত না। একে তো এরকম সিরিয়াস একটা সিরিজ আর অভিষেক নাগাড়ে হাস্যকর সব কথা বলে যেত। আমিই ওকে বলতাম, ‘প্লিজ এবার সিরিয়াস হও। শট দিতে হবে। সিরিজ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, একটা সিরিয়াস দৃশ্যের আগে আমরা কতটা হেসেছি।”

নিতিয়া আরও বলেন, “জার্নালিজম নিয়ে পড়াশোনা করেছি। রিপোর্টিং করতাম। ক্রিয়েটিভ কাজ সবসময়েই ভালো লাগে। সেইজন্যই অভিনয়ে আসি। কিন্তু আমার ছবি পরিচালনা করার বেশি ইচ্ছে। এখন সময় পাচ্ছি বলে স্ক্রিপ্টও লিখছি বাড়িতে বসে। যা কিছু শিখতে ইচ্ছে করছে অনলাইনে শিখছি। নতুন ভাষার ক্লাস থেকে শুরু করে নাচের ক্লাসও করছি।”

বিভিন্ন ভাষার প্রতি নিত্যার খুব আগ্রহ। আর তিনি নতুন ভাষা রপ্ত করেন খুব তাড়াতাড়ি। এর মধ্যেই ছ’টি ভাষায় তিনি পারদর্শী। নিত্যা নিজেই বললেন, “নতুন ভাষা শিখতে খুব ভালো লাগে। অনেক ভাষাও জানি। এখন মারাঠি আর বাংলা শেখায় মন দিয়েছি। আমার কলকাতার বন্ধুরা বলে আমাকে দেখলে নাকি বাঙালি মনে হয়। এক বন্ধু আবার বলে ‘বাংলা ভাষা শিখে কলকাতায় চলে আয়, এখানে ছবি কর।’ তাই বাংলাও শিখব ঠিক করেছি।”

ইউএইস/

Exit mobile version