Site icon Jamuna Television

ডিজিটাল হাট: হাসিল ছাড়াই কেনা যাবে গরু

কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য উদ্বোধন হলো অনলাইন ডিজিটাল হাট। দুপুরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, উত্তর সিটির মেয়রসহ নীতিনির্ধারকরা এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। বলা হয়, উত্তর সিটিতে শুধু ডুমনি, মৈনারটেক এবং উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে হাট বসবে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এ উদ্যোগে অংশীদার হয়েছে ৬০টির বেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।

করোনা সংক্রমন এড়াতে, এবছর ঢাকা সিটিতে কোন পশুর হাট না বসানোর পরামর্শ দেয়, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি। সেই মোতাবেক, আবাসিক এলাকায় কোন হাট বসাতে চায় না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মেয়র জানালেন, শুধু ডুমনি, মৈনারটেক এবং উত্তরা ১৭ নম্বরে বসবে হাট। আর বিকল্প হিসেবে থাকছে ‘অনলাইন ডিজিটাল হাট’।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা অনলাইন থেকে গরু কিনবেন তাদের কোনো হাসিল দিতে হবে না। ডিএনসিসি ডিজিটাল গরুর হাট থেকে কেবল গরু কেনাই নয়, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জবাই করে বাসায়ও পৌঁছে দেয়া হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যত্রতত্র পশু কোরবানি ও গরু বেচাকেনা না করে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনা। এর ফলে, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু কেনাবেচা করা যাবে।

অবশ্য, প্রক্রিয়াজাত ও পৌছে দেয়ার সুবিধা নিতে গেলে, অতিরিক্ত টাকা গুণতে হবে ২৩ শতাংশ।

কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি এই উদ্যোগ প্রান্তিক খামারিদের উপকারে আসবে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, শহর ছাড়াও গ্রামগঞ্জে একটি বা দুটি জায়গায় কোরবানির পশু বেচাকেনা করা জন্য নির্ধারণ না করে একটি ওয়ার্ডে বা ইউনিয়নে বিস্তৃত স্থানে আয়োজন করলে করোনা সংক্রমণের বিস্তাররোধে ভূমিকা রাখবে। এতে করে একদিকে যেমন পশু কেনাবেচার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না অন্যদিকে সাধারণ মানুষকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এই সময়ে নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। কোরবানির পশু কেনাবেচার পাশাপাশি সেটি যে ৩ ভাগে ভাগ করে বিলিবণ্টন করতে হয় সেই ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন আয়োজকরা।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দুই হাজার গরু কেনা-বেচার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ডিজিটাল হাটে। আর যারা জবাই ও প্রক্রিয়ার অর্ডার দেবেন, তাদেরকে পর্যায়ক্রমে তিন দিনে তা বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে। ৬০টির বেশি ই-কমার্স উদ্যোক্তা অংশ নিচ্ছেন এই প্লাটফর্মে।

Exit mobile version