Site icon Jamuna Television

ডা. সাবরীনার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ, জানালো পুলিশ (ভিডিও)

করোনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরীনা আরিফের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

রোববার দুপুরে তাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সাবরীনাকে গ্রেফতার দেখানোর পর ডিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, আমরা জেকেজি গ্রুপের হিমু ও তার ওয়াইফ তানজিনাকে গ্রেফতার করার পর তারা জানায় বাড়িতে গিয়ে তারা স্যাম্পল কালেকশন করেন। তানজিনা একজন নার্স হওয়ায় সে দিনের বেলায় স্যাম্পল কালেকশন করে আর পরবর্তীতে সেগুলো ফেলে দেয়। হিমু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ায় সে সার্টিফিকেট বানিয়ে সরবরাহ করে। এগুলোর জন্য তারা পাঁচ হাজার টাকা ফি নেয় এবং বিদেশি হলে একশত ডলার ফি নেয়। হিমু ও তানজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এগুলোর সাথে জেকেজি গ্রুপ জড়িত বলে তথ্য দেয়। তারপর জেকেজির সিইও আরিফুল হকসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তাদের থেকে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যায়।

হারুন জানান, জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে তিতুমীর কলেজের সামনে জেকেজির মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন কেন জানতে চাইলে সাবরীনা বলেন- এটা আমার হাজবেন্ড আমাকে বলতে বলেছে।

হারুন আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি সেগুলোর সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্তের জন্য তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করতে সোমবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

হারুন জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি কোনও বেসরকারি কোম্পানির চেয়ারম্যান থাকতে পারেন না। সেইসাথে একটি বেসরকারি কোম্পানির হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিতে পারেন না। অভিযোগ আছে তারা বহু মানুষকে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেট দিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছেন। এগুলো সবকিছুই তদন্তে উঠে আসবে।

এছাড়াও হারুন জানান, তারা করোনা টেস্টের জন্য আর্চওয়ে, ফ্যান সহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভাড়া করে আনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। এগুলোর ভাড়াও পরিশোধ করেনি তারা।

Exit mobile version