Site icon Jamuna Television

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা শতভাগ নিশ্চিত নয়

ছবি- ইন্টারনেট

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ালেও ব্যাপক হারে প্রয়োগের ক্ষেত্রে অক্সফোর্ডের পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা শতভাগ নিশ্চিত নয়। চূড়ান্তভাবে কার্যকারিতা প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী ধাপের পরীক্ষা পর্যন্ত।

সোমবার, প্রথম ধাপে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ১ হাজার ৭৭ জনের ওপর ডোজ প্রয়োগের পরবর্তী ফল বিস্তারিত তুলে ধরে অক্সফোর্ড। টিকা দেয়ার পর দু’মাস পর্যবেক্ষণে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ৭০ শতাংশের মাঝে স্বল্প সময়ের জন্য মৃদু জ্বর আর মাথাব্যথা দেখা গেলেও, সার্বিকভাগে মানবদেহে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেনি ভ্যাকসিনটি।

অবশ্য এরইমধ্যে ভ্যাকসিনটির ২শ’ কোটি ডোজ কেনার প্রক্রিয়া সেরে ফেলেছে বেশ কয়েকটি ধনী রাষ্ট্র।

প্রতিষেধক বিষয়ক প্রধান গবেষক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, “আশানুরূপ ফল পেয়েছি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে মানবদেহকে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক এ ওষুধ। এখন এর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও বড় পরিসরে পরীক্ষা দরকার; যা শুরুও হয়েছে।”

মানবদেহে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের ১৪ দিনের মধ্যে অস্থিমজ্জায় ‘টি সেল’ নামে এক ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা এবং ২৮ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরির প্রমাণ মিলেছে। যা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম। কিন্তু বৈশ্বিক পর্যায়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণে এটি কতোটা কার্যকর, তা নিশ্চিতে বাকি আরও দীর্ঘ পথ।

প্রকল্প-প্রধান সারাহ গিলবার্ট বলেন, “স্বল্পমেয়াদে ওষুধটির কার্যকারিতার প্রমাণ মিললেও দীর্ঘমেয়াদে এই ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধে কতোটা সক্ষম, তা এখনও অনিশ্চিত। সম্ভবত করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মানবদেহে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আরও একটি ডোজের দরকার হবে।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি প্রকল্প প্রধান মাইক রায়ান বলেন, “অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রশ্নে প্রাথমিক পরীক্ষায় উৎরে গেছে। তবে এটা প্রথম ধাপের গবেষণা। আরও বড় পরিসরে পরীক্ষায় বৈশ্বিক পর্যায়ে এর কার্যকারিতা নিশ্চিত হলেই বোঝা যাবে আসলে কতোদূর এগিয়েছি আমরা।”

এরইমধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় আরও ৪৭ হাজার মানুষের ওপর শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা।

Exit mobile version