Site icon Jamuna Television

রঙিন মাছের চাষ হয় যেখানে

কাজী মনিরুজ্জামান, শরীয়তপুর:

অ্যাকুরিয়ামের রঙিন মাছ দেখে অনেকরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আচ্ছা এসব মাছের চাষ হয় কোথায়? দেশের পুকুরে? নাকি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় এই মাছ? শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গা মানিক গ্রামের বাসু দাসের সাফল্যের গল্পে এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে। রঙিন মাছের খামার করে সাবলম্বী হয়েছেন বাসু।

২০০৬ সালে বাসু গড়ে তোলেন রঙিন মাছের খামার। তার খামারে এখন ৪০টি চৌবাচ্চায় ১০ প্রজাতির মাছের চাষ করা হয়। বাসু দাস জানান, তার খামারের মাছ রাজধানী ঢাকার কাঁটাবন ছাড়াও বিভিন্ন বাসাবাড়িতে শোভা পাচ্ছে। এ জাতীয় খামার একদিকে যেমন অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে, অন্যদিকে ঘোচাবে বেকারত্বও।

বাসু দাস একটি মাছের খামারে চাকরি করতেন। সেখানকার এক কাজে একদিন যান কাঁটাবন। সেখানে, অ্যাকুরিয়ামের মাছ দেখে আগ্রহী হন তিনি। ফিরে গিয়ে স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন অনেক খামার মালিককে। কিন্তু কেউই এগিয়ে আসননি।

মাছের খামারে বাসু

তাতে দমে যাননি বাসু। আবার ছুটে যান কাঁটাবন। সেখানকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়ে আসেন উৎসাহ, সাথে কিছু অভিজ্ঞতা। গ্রামে ফিরে ২০০৬ সালে আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে দু’টি চৌবাচ্চা তৈরি করেন। কাঁটাবন থেকে মাছের পোনা কিনে শুরু করেন মাছ চাষ।

ধীরে ধীরে সাফল্য পান বাসু। বর্তমানে বাসুর মাছের খামারে গোল্ড ফিস, ব্লাকগোল্ড ফিস, কমোড কার্প, কৈ কার্প, এঞ্জেল ফিস, মলি ফিস ও প্লাটি ফিসের চাষ করা হচ্ছে।


বাসু দাস জানান, তার খামারে বেশ কয়েকজন কাজ করছেন প্রতিদিন। যারা তাদের পরিবারে অন্যতম উপার্জনক্ষম। তার মতো আরও অনেকে এমন মাছ ব্যবসায় এগিয়ে এলে আরও অনেকের কর্মসংস্থান হবে।

যমুনা অনলাইন: কেএম/টিএফ

Exit mobile version