Site icon Jamuna Television

চীন-মার্কিন বৈরিতায় আগুনে ঘি ঢাললো রাশিয়া!

বেশকিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বৈরিতার মাত্রা বেড়েছে। এরইমধ্যে তথ্য চুরি নিয়েই দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। তারই ধারাবাহিকতায়, কূটনৈতিক হিউস্টন ও চেংদু’তে কনস্যুলেট বন্ধ করলো দেশ দুটি।

এরমাঝেই, আগুনে ঘি ঢাললো রাশিয়া। চীনের মিত্র রাশিয়ার দাবি- মূল প্রতিপক্ষদের কুপোকাতে ন্যাক্কারজনক কৌশল ওয়াশিংটনের। বিশ্লেষকরাও বলছেন, দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া ট্রাম্প।

একে করোনা মহামারি ইস্যুতে কিছুটা চাপে চীন। তাই কূটনৈতিক ঝামেলা বাড়াতে চাচ্ছে না জিনপিং প্রশাসন। মিত্র রাশিয়ারও অভিযোগ, মূল প্রতিপক্ষদের কাবু করতেই যুক্তরাষ্ট্রের এমন নোংরামি।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা দ্বন্দ্ব-সংঘাত নয় বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং উভয়পক্ষের লাভজনক অবস্থান চাই। একইসাথে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা এবং উন্নয়ন বজায় রাখতে চায় চীন। কিন্তু, স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ট্রাম্প প্রশাসনের; তাদের বিবৃতিতেও রয়েছে মতাদর্শিক পার্থক্য।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারভ বলেন, বর্তমানে যে তথ্যযুদ্ধ হচ্ছে, তার সবচেয়ে বড় টার্গেট রাশিয়া ও চীন। কেবল আগ্রাসী মন্তব্যেই খান্ত হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। একইসাথে, দু’দেশের জনগণকেও উসকানি দিচ্ছে; ছড়াতে চাইছে অসন্তোষ। কিন্তু, তাতে সাফল্য পাবে না ট্রাম্প প্রশাসন।

বিশ্লেষকদের অভিমত, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেতে চীনের সাথে বিরোধ মূলতঃ রিপাবলিকানদের রাজনৈতিক কৌশল।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফরি শ্যাসে বলেন, পাল্টাপাল্টি কনস্যুলেট বন্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। কারণ, করোনা মহামারিতে বিপুল মানুষ মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে; এমনিতেই নড়বড়ে অবস্থায় আমরা। তার ওপর, ট্রাম্পের এ ক্ষ্যাপাটে আচরণ। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বরাবরই চীনা-বিরোধী। কিন্তু, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় এটা নোংরা কৌশল।

রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক চেং জিয়াওহে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন চীনের ওপর যে চাপপ্রয়োগ করছে, সেটা পররাষ্ট্র কৌশল নয় বরং রণকূটনীতি। মূলতঃ নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্যেই এ পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্টের। দ্বিতীয়দফা, বিজয় নিশ্চিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

২০১৩ সালে সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেন বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটে গুপ্তচরবৃত্তির তথ্য প্রকাশ করেন। সেখানে ছিলো চেংদু’ কনস্যুলেটের নামও।

Exit mobile version