Site icon Jamuna Television

উত্তরে পানি মধ্যঞ্চালে গড়াচ্ছে, দুর্ভোগ কমেনি কোথাও

কুড়িগ্রামে নিম্নাঞ্চলে পানি, দুর্ভোগে বানভাসি মানুষ

যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ প্রধান নদ-নদীর পানি কমায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়াসহ উত্তরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বেড়েছে ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোর নদ-নদীর পানি। মানিকগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, মুন্সিগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে উত্তরে পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। দুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে অনেক পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগসহ গবাদিপশুর রোগ। ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।

একদিকে করোনায় কাজকর্ম বন্ধ, অপরদিকে বন্যার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে বানভাসীদের। সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ চলমান থাকলেও সেগুলো অপ্রতুল বলে জানান তারা। আবার কিছু এলাকার মানুষ ত্রাণ পেলেও অধিকাংশ এলাকায় ত্রাণের কোন দেখা পায়নি বানভাসি মানুষ।

পানি কমতে থাকলেও শরীয়তপুর ও মাদারীপুরে পদ্মার ভাঙন তীব্র হয়েছে। বাড়ছে সহায়-সম্বল হারানো মানুষের সংখ্যা। যমুনার পানি কমায় জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের ৩১টি জেলায় ১০ লাখ ২১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার আশেপাশের নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

বুধবার দেয়া ওই তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১ জন। এর মধ্যে জামালপুরে ১৫ জন, লালমনিরহাটে ১ জন, সুনামগঞ্জে ৩ জন, সিলেটে ১ জন, কুড়িগ্রামে ৯ জন, টাঙ্গাইলে ৪ জন, মানিকগঞ্জে ২ জন, মুন্সীগঞ্জে ১ জন, গাইবান্ধায় ১ জন, নওগাঁয় ২ জন এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন । বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনগুলো থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী- বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৫৪টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ৯১৭টি। পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ৮৩৪টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৪৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৮ জন।

Exit mobile version