Site icon Jamuna Television

৬টি নয়, কাছ থেকে ৪টি গুলি করা হয়েছিল মেজর (অব.) সিনহাকে

তিনটি বা ছয়টি নয়। টেকনাফে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার গায়ে গুলি লেগেছিল ৪টি। এই চারটি গুলির কথাই পুলিশের হত্যা চেষ্টা মামলার এজহারে উল্লেখ ছিল। যমুনা নিউজের হাতে আসা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুব কাছ থেকে গুলি করার কারণেই মারা গেছেন সিনহা মো. রাশেদ।

পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহতের পর দেশজুড়ে একটাই প্রশ্ন, কেন গুলি করা হলো তাকে। ঘটনার পর থেকে সুরতহাল রিপোর্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মিলিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। আসলে কয়টা গুলি করা হয় সিনহাকে। ঘটনার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় বলা হয়, ইন্সপেক্টর লিয়াকত চারটি গুলি করেন। আর সুরতহাল রিপোর্ট বলছে, শরীরে ৬টি গুলির দাগের কথা। যমুনা নিউজের কাছে এসেছে এসব আলোচনার উত্তর।

ময়না তদন্ত রিপোর্ট বলছে, মোট চারটি গুলি করা হয় সাবেক মেজর সিনহা রাশেদকে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা চিকিৎসকদের বর্ননা অনুযায়ী, প্রথম গুলিটা সিনহার বাম হাতের বাহুতে লেগে ছিদ্র হয়ে বেরিয়ে যায়। পরের গুলিটি বাম কাধের নিচ দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই গুলির জন্য সামনে ও পেছনের অংশে দুটি ক্ষত তৈরি হয়।

ময়না তদন্তকারীরা দেখতে পেয়েছেন, শেষের পরপর দুটি গুলি, বুকের বাম পাশে এক জায়গা দিয়ে ঢুকে পিঠে পাশাপাশি দুটি ক্ষত তৈরি করে বেরিয়ে যায়। এই দুটি গুলি বুকের পাজরের হাড় ভেঙে ঢুকে, হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস ভেদ করে বেরিয়ে যায়। খুব কাছ থেকে দুটি গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলেও ধারণা ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকের। এই দুটি গুলির জন্য মোট তিনটি ক্ষতের সৃষ্টি হয় সিনহা রাশেদের শরীরে।

এছাড়াও, গলায় কিছু দাগ সংবলিত হালকা ক্ষতের চিহ্ন মিলেছে। তবে সেটা গুলির চিহ্ন নয় বলে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। অর্থাৎ চারগুলির ৬টি ক্ষতের কথা উল্লেখ আছে ময়না তদন্ত রিপোর্টে। কক্সবাজার মেডিকেল থেকে এই রিপোর্ট তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাবের কাছে জমা দেয়া হয়েছে এরইমধ্যে।

র‍্যাব বলছে, কোনো গালগল্প বা কানকথা আমলে নিয়ে তদন্ত করবে না তারা।

Exit mobile version