Site icon Jamuna Television

সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে ছাত্রলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

সন্ত্রাসী আশিক বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম মিরাজ।

রোববার দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে মিরাজ বলেন, পটুয়াখালী-৪ আসনের (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) সরকার দলীয় এমপি মুহিবুর রহমান মুহিবের পক্ষাবলম্বন না করায় তার লালিত-পালিত আশিক বাহিনীর সন্ত্রাসীরা গত ৬ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘এমপি সাহেব ডেকেছে বলে’ বাসা থেকে জোরপূর্বক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাকে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়।

পথিমধ্যে ধানখালী তাপবিদ্যুৎ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা জাকির হোসেন তাদেরকে দেখে ফেললে চিৎকার করে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে মিরাজ বলে, ‘স্যার ওরা আমাকে জোড় করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে আমাকে বাঁচান’।

এ সময় মোটরসাইকেল থামিয়ে আশিক বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মুছা বলে আমরা বন্ধুবান্ধবরা এমপি সাহেবের সাথে দেখা করতে রওনা হয়েছি। মিরাজ আপনার সাথে ইয়ার্কি করছে। পরে পুলিশ কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘মুছা মিরাজের যেন কোনো সমস্যা না হয়’। এই বলে সন্ত্রাসীরা আশিকের বাসার পিছনে কথিত টর্চার সেলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে মিরাজকে।

হকিস্টিক, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে আশিক ধারাল দা দিয়ে মিরাজকে হত্যা করার চেষ্টা করলে মুছা বাধা দেয়। পরে আশিক হকিস্টিক দিয়ে মিরাজের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়।

পরে কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশ পাঠিয়ে মিরাজকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং কোনো ধরনের জিডি না করে স্বাক্ষর রেখে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য আশিক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে মিরাজকে নিয়ে একটি ছবি তুলে পোস্ট দেয় যে, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে চায়ের আড্ডায় আছি’।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আশিক বলেন, মূলত মুছা ও মিরাজের সাথে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেখানে অহেতুক আমাকে জড়ানো হয়েছে। আমি বরং ঘটনা শুনে থানায় গিয়েছিলাম। পরে পৌর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মাছুম ব্যাপারী ও আমি মিলে আপোষ মীমাংসা করে দিয়েছি। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না। আমি কিছুই জানি না। আমার কোনো বাহিনী নেই।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ইউএইস/

Exit mobile version