Site icon Jamuna Television

মাথাপিছু আয় ২০৬৪ ডলার, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২৪ শতাংশ

করোনার মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। স্থিরমূল্যে এই জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। একইসাথে দেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয়ও বেড়েছে। বিদায়ী অর্থবছর শেষে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ ডলার। তার আগের অর্থবছরে মাথাপিছু গড় আয় ছিল ১ হাজার ৯০৯ ডলার। অর্থাৎ, দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় এক বছরের ব্যবধানে ১৫৫ ডলার বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএস দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি মুদ্রায় মানুষের মাথাপিছু আয় বছরে দাঁড়াচ্ছে গড়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ, মাসে গড় আয় প্রায় ১৪ হাজার ৬০০ টাকার মতো।

এদিকে মহামারির সময়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরেও ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ধরেছে সরকার। উচ্চাভিলাষী এই প্রবৃদ্ধি ধরার জন্য বাজেট ঘোষণার পর পরই অর্থনীতিবিদরা সরকারের সমালোচনা করেছিলেন।

বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হওয়ার কারণে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অনেক কম হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগও বলেছিল, গেল অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আড়াই শতাংশের বেশি হবে না। পরে সরকারও লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করেছিল।

তবে এসব পূর্বভাসের কোনটিই কাজে লাগেনি। মূলত, কৃষিতে ভালো উৎপাদন এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ভালো থাকায় মহামারির মধ্যে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

তারা বলেন, কৃষি ও রেমিটেন্স বাড়লেও রফতানি আয়ে কিছুটা ধাক্কা লেগেছে। শিল্প ও সেবা খাতের গতিও শ্লথ হয়ে পড়েছে। আবার এ সময়ের মধ্যে কর্মসংস্থানে সুযোগ বাড়েনি। এদিকে নজর না দিলে এই প্রবৃদ্ধি খুব একটা ফলপ্রসু হবে না।

বিবিএস বলছে, এটা প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক হিসাবের তথ্য। আগামী দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করা হবে।

করোনার কারণে সারাবিশ্বেই জিডিপির প্রবৃদ্ধি তলানিতে নেমেছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব তীব্রভাবে পড়েছে। ফলে প্রতিবছর জিডিপির আকার বাড়তে থাকলেও এ বছর কমেছে। বিদায়ী অর্থবছরে তার আগের বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ কম প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশের এ অর্জন ইতিবাচক, যা বিশ্বের অনেক দেশের পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব হবে না।

Exit mobile version