Site icon Jamuna Television

সিনহা হত্যা মামলার আসামি আটক করে র‍্যাব, স্বজনদের দিয়ে অপহরণ মামলা করাল পুলিশ!

সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় র‍্যাবের তদন্তে পুলিশের নাক গলানোর ঘটনা ঘটলো টেকনাফে। র‍্যাব তিন আসামিকে আটকের পর, তাদের বাড়িতে গিয়ে অপহরণ মামলা করতে বাধ্য করে টেকনাফ থানার পুলিশ। আসামিরাও অন্য কেউ নয়। সিনহা রাশেদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষী ছিল তারা।

টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার প্রধান তিন সাক্ষীর একজন  নুরুল আমিন। মেজর অব. সিনহা হত্যার ঘটনায় সাক্ষী হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, নিজের চোখে কিছুই দেখেননি, শোনেনওনি। একই কথা বলেন, সেই মামলার আরেক সাক্ষী মোহাম্মদ আয়াছও।

সোমবার বিকেলে সেই সাক্ষীদের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হেফাজতে নিয়ে আসে তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব। পরদিন মঙ্গলবার সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাদের।

এদিকে র‍্যাব আসামিদের নিয়ে যাওয়ার পর মধ্যরাতে ঘটে যায় আরেকটি ঘটনা। টেকনাফের মারিশবুনিয়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারকে সঙ্গে নিয়ে নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আয়াছের বাড়িতে যায় টেকনাফ থানার পুলিশ। কিন্তু স্পর্শকাতর ঘটনার তদন্ত যখন র‍্যাবের হাতে, তখন আসামিদের বাড়িতে বাড়িতে, পুলিশের উপস্থিতির কারণ কী!

সেটা জানতে নিজাম উদ্দীন নাজুর স্ত্রী শাহেদা বেগমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রাত আড়াইটার দিকে লাথি মেরে দরজা ভেঙে পুলিশ বলে, আপনার স্বামীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এটা বলতে ওসি সাহেবের কাছে যেতে হবে।

মোহাম্মদ আয়াছের ভাই ভাই মো মোবারক বলেন, রাত তিনটার দিকে পুলিশ আসে। এসে একটা দস্তখত নিয়ে গেছে।

শুধু তাই নয়, ভোর রাতে নুরুল আমিনের মা খালেদা বেগমকে টেকনাফ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। খালেদা জানান, সেখানে দুটি কাগজে টিপ সই নিয়ে আবার বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ।

হাতের টিপসইয়ের ছাপ দেখিয়ে নুরুল আমিনের মা খালেদা বেগম বলেন, পুলিশ বলছে তোর ছেলের মরা মুখ না দেখতে চাইলে এখানে টিপসই দে।

খালেদা বেগমের টিপসই দেয়া সেই মামলার কাগজ এসেছে যমুনা নিউজের কাছে। র‍্যাব সদস্যদের অজ্ঞাতনামা সাদা পোশাকের লোক হিসেবে উল্লেখ করে, মধ্যরাতেই অপহরণ মামলা নিয়ে নেয় টেকনাফ থানা পুলিশ। মামলার এজাহারে সাক্ষরও করেন টেকনাফ থানায় নতুন যোগ দেয়া আসা ওসি আবুল ফয়সল।

এবিষয়ে জানতে টেকনাফ থানায় গেলে আনুষ্ঠানিক কথা বলেননি কেউ। বারবার জানতে চাওয়ার পর, এমন কিছু হয়নি বলে জানান উপস্থিত কর্মকর্তারা।

Exit mobile version