Site icon Jamuna Television

কাশিমপুর কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ!

রাব্বী সিদ্দিকী:

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২। তিনস্তরের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে এক অংশেই থাকেন কারারক্ষীরাসহ কারাগারের অন্য স্টাফরা। আবার প্রাচীর ঘিরেই সাধারণ মানুষেরও বসবাস। সীমানা প্রাচীরের বেশ কয়েক জায়গায় ভাঙা থাকায় চাইলে যে কেউ এখানে ঢুকতে ও বের হতে পারবেন। তবে এমন ভঙ্গুর প্রাচীর ঘিরে নেই কোন সিসিটিভি ক্যামেরা।

এদিকে সম্প্রতি কয়েদি পালানোর ঘটনায় কাশিমপুর কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। শত শত কারারক্ষীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে পালিয়ে গেলো একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি? কারাগারের আশপাশে থাকা স্থানীয়রা বলছেন, কারারক্ষীদের গাফিলতি আর কঠোর নজরদারির অভাবেই পালিয়েছে কয়েদি।

তারা বলেন, কারারক্ষীরা প্রাচীর টপকে লোকালয়ে আসেন। আবার এখানকার মানুষজনও নানান কারণে ভিতরে ঢোকেন। এমনকি কারারক্ষীরা লোকালয়ে এসে মাদক গ্রহণ করে বলেও জানান তারা।

হাইসিকিউরিটি কারাগার হিসেবে সীমানা প্রাচীরগুলো অনেক উচু। কিন্তু এরমধ্যে দুই নম্বর সেল থেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদি পালিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কৌশলে সীমানা প্রাচীর টপকে কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক পালিয়ে গেছেন। আর কারাগারের কেউ তাকে সহায়তা করেছেন। ফলে কারারক্ষীদের বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অবশ্য কারা অধিদপ্তর বলছে, কয়েদি পালানোর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে।

কারা অধিদপ্তরের এআইজি (প্রশাসন) মঞ্জুর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, কমিটি প্রতিবেদন দিলে তখন অনেক কিছুই পরিষ্কার হবে যে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চার বছর আগে কারা ফটকের সামনেই সাবেক প্রধান কারারক্ষীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ও ২০১৪ সালে এ কারাগার থেকে কয়েদিকে পুলিশ ভ্যানে ময়মনসিংহ নেয়ার পথে আলোচিত জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

Exit mobile version