
ব্যবসায়ী হত্যাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী।
রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ীতে বিস্কুট ব্যবসায়ী রবিউল বিশ্বাসকে (৩২) পুলিশ কর্তৃক বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষের দ্বারা হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত রবিউল কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বেতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৫ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বেতবাড়িয়া গ্রামের মনার বিল থেকে রবিউলের লাশ উদ্ধার করে গ্রামবাসী। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রামবাসী কালুখালী থানার কয়েক পুলিশ সদস্যকে আটকে রাখে এবং মারপিট করে।
পরে কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল হাসান ও সহকারী পুলিশ সুপার পাংশা (সার্কেল) মো. লাবিব আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে আসলে গ্রামবাসী তাদের উপরে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এসময় লাঠিচার্জ করে উৎতেজিত জনতাকে ছন্নছাড়া করা হয়। পরে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে।
গ্রামবাসী জানায়, গত শুক্রবার (১৪ আগষ্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কালুখালী থানার এসআই ফজলুর রহমান, এসআই সোহাগ, এএসআই ফিরোজ ফোর্সসহ এক মামলার আসামি রবিউল বিশ্বাস ও তার ভাই আকতার বিশ্বাসকে ধরে নিয়ে নিয়ে যায়। পরে সাড়ে ৩টার দিকে আকতার এসে জানায় মনার বিলে দূবৃত্তদের হামলায় প্রাণভয়ে পানিতে লাফ দেয় তারা। আক্তার সাতার দিয়ে পালিয়ে বাঁচলেও রবিউলকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
পরে শনিবার সকালে রবিউলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আবার সকালে কালুখালী থানার এসআই ফজলুর রহমান, এসআই সোহাগ, এএসআই ফিরোজ ফোর্সসহ আসে। তখন গ্রামবাসী তাদের কাছে হত্যার বিষয়ে জানতে চায়। উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিশের উপরে হামলা চালায়।
নিহত রবিউলের স্ত্রী সাবানা বেগম অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাতে পুলিশ এসে রবিউলকে ধরে নিয়ে যায়। পরে শনিবার সকালে রবিউলের লাশ পাই। আমি আমার স্বামী ও ৩ বাচ্চার বাবা হত্যার বিচার চাই।
নিহত রবিউলের চাচা মিরাজ জানান, এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমাদের অভিযোগ পুলিশ হত্যাকাণ্ডে সহযোগীতা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
মাঝবাড়ী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. হাবিব জানান, শনিবার সকালে সংবাদ পেয়ে দেখতে এসেছি। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দরকার।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল হাসান জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গ্রামবাসী ভুল বুঝে উত্তেজিত হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply