Site icon Jamuna Television

চিকিৎসক করোনা পজেটিভ হয়ে বাসায়, স্বাক্ষরিত রিপোর্ট রোগীদের হাতে!

বগুড়া ব্যুরো:

প্যাথলজিস্টের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক করোনা পজেটিভ হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন গত রোববার থেকে। অথচ গেলো চার দিন ধরে তার সীলমোহর-স্বাক্ষর ব্যবহার করেই সব ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট দিয়ে আসছিলো বগুড়ার ডক্টর’স ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

বুধবার এই বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আবজাল যমুনা নিউজকে জানান, শহরের ডক্টর’স ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্যাথলজিস্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ডাক্তার একেএএম রওনক হোসেন চৌধুরী। রোববার তার করোনা পজেটিভ শনাক্তের পর তিনি হোম আইসোলেশনে চলে যান। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টেই তার স্বাক্ষর ও সিলমোহর ব্যবহার করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার সকালেও যেসব ল্যাব রিপোর্ট দেয়া হয়েছে রোগীদের হাতে, সেগুলোতেও ডাক্তার রওনকের স্বাক্ষর ও সীল রয়েছে।

অভিযানে থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডাক্তার ফারজানুল ইসলাম জানান, তারা ডাক্তার রওনকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তিনি পজেটিভ শনাক্তের পর থেকেই বাসায় রয়েছেন এবং কোনও প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টে স্বাক্ষর করেননি। ক্লিনিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল জামান ভ্রাম্যমাণ আদালতে কাছে স্বীকার করেছেন, প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টে ডাক্তার রওনকের সীলমোহর দিয়ে তাতে ক্লিনিকের স্টাফরাই স্বাক্ষর করে রোগীদের হাতে দিচ্ছিলেন।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আবজাল ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।

Exit mobile version