Site icon Jamuna Television

জুতাপেটা দিয়ে ধর্ষণের অপরাধ ধামাচাপার চেষ্টা চেয়ারম্যানের

এ সময়টা হেসে খেলে বেড়ানোর কথা মাদারীপুর সদর উপজেলার ১৪ বছরের কিশোরীর। অথচ লোক-লজ্জা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের তোপের মুখে ঘড়ছাড়া মেয়েটি। তাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী মামুনকে জুতাপেটার শাস্তি দিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। সেইসাথে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা না করার নির্দেশও দেন।

স্বজনরা জানায়, কৌশলে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী ভ্যানচালক মামুন। নির্যাতনের পর পালিয়ে যায় সে। স্থানীয় মাতবরদের জানালে অভিযুক্তকে জুতাপেটা করেন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হাওলাদার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা না করার নির্দেশও দেন তিনি। তবে পরবর্তীতে অভিযুক্ত মামুন, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পরিবারটি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, আমরা বিষয়টি জানার পর মামুনকে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বীকার করে। এরপর বিচার চাইতে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি নিশ্চিন্তে বসে থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রশাসন- সাংবাদিক যেই আসুক, সব আমি দেখব; তোমরা নিশ্চিন্তে থাক।

পরে ৫০ টি জুতার বাড়ি দিয়ে ঘটনার মিমাংসা করেন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হাওলাদার।

ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মানববাধিকার কর্মীরা। বলেন, এটি স্থানীয়ভাবে
মীমাংসার যোগ্য নয়। এটা আইনের ব্যাপার। আদালতের মাধ্যমেই এটির বিচার হতে হবে।

তদন্ত করেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা সব পক্ষের সাথেই কথা বলব। যদি ধর্ষণ সংক্রান্ত কোন ঘটনা ঘটে তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত মামুন ও তার পরিবার। চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি।

Exit mobile version