Site icon Jamuna Television

আশুরা উপলক্ষে খোলা স্থানে তাজিয়া মিছিল ও সমাবেশ করা যাবেনা: ডিএমপি

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে খোলা স্থানে তাজিয়া মিছিল ও সমাবেশ করা যাবেনা। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরুত্ব মেনে ইনডোরে ধর্মীয় অন্যান্য অনুষ্ঠান পালন করা যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)।

রোববার সকাল ১১ টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে সমন্বয় সভায় একথা বলেন তিনি।

আশুরা অনুষ্ঠান আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রুখতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। অনুষ্ঠান স্থলে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিবেন না। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ইমামবাড়াগুলোতে সবাইকে একসাথে না ঢুকিয়ে খণ্ড খণ্ড দলে বিভক্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অবস্থানের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন তিনি।

পবিত্র আশুরার বেদনা বিধুর ঘটনা স্মরণ করে কমিশনার বলেন, আমরা ধর্মীয়ভাবে উদার একটি সমাজ ও রাষ্ট্রে বসবাস করি। শান্তিপূর্ণভাবে আশুরা উদযাপন করার আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কোন বিরোধ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে তা মীমাংসা করতে হবে। আশুরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। আপনাদের যেকোন প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি।

এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি এবং লালবাগ, মিরপুর ও তেজগাঁও বিভাগের শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে-

১। পবিত্র আশুরা কেন্দ্রিক ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
৩। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসোপজাল ইউনিট দিয়ে সুইপিং করানো হবে।
৪। ইমামবাড়াসহ তার আশাপাশে সিসি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
৫। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করে আর্চওয়ের মধ্যদিয়ে সকলকে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করত দেওয়া হবে।
৬। আয়োজক কমিটি পরিচয়পত্রসহ পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবেন।

ইমামবাড়া কেন্দ্রিক আয়োজক কমিটিকে যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে-

১। প্রতিটি ইমামবাড়ার প্রবেশ পথ ও প্রস্থানের পথ পৃথক করতে হবে।
২। ইমামবাড়ায় প্রবেশমুখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেসিন, পানির ট্যাংক, সাবান এবং পৃথকভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। ইমামবাড়ার প্রবেশমুখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে।
৪। কোনক্রমেই মাস্ক ছাড়া কাউকে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
৫। ইমামবাড়ায় সামাজিক দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফুট কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে।
৬। করোনা সন্দেহজনক উপসর্গ যেমন- জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যাথা ইত্যাদি নিয়ে কোন ব্যক্তিকে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
৭। করোনাকালীন বিশেষ পরিস্থিতিতে শিশু ও ষাটোর্ধ্ব এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ইমামবাড়ায় প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

Exit mobile version