Site icon Jamuna Television

বহুপাক্ষিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ

শুধু দ্বিপাক্ষিক নয়, বহুপাক্ষিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। বর্ষা মৌসুম শেষে বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানোর পরিকল্পনাও আছে সরকারের।

সোমবার সেন্টার সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট; এশিয় ও দ্বিপাক্ষিক প্রেক্ষাপট’ প্রসঙ্গে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।

এতে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে উঠে আসে নানা পরামর্শ। মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বলে মনে করে বন্ধু রাষ্ট্রগুলো।

এসময়, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার বলেন,  সরকার বিভিন্ন পরামর্শ শুনলেও তা আমলে নিচ্ছে না, ফলে বিলম্বিত হচ্ছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সংকটের স্থায়ী সমধান দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংকট সমাধানে জাতিসংঘ আন্তরিক বলেও মনে করেন কানাডার হাই কমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ সংকট সমাধানে আন্তরিক হলেও দ্বিপাক্ষিক অসমঝোতার কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া হচ্ছে না। দুই দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা দরকার।

মালেয়শিয়ার সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. সৈয়দ হামিদ আলবার বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারকে নানা পরামর্শ দিলেও তারা সব শুনে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেনা, ফলে প্রত্যাবাস্ন প্রক্রিয়া হচ্ছে না।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিক কারণগুলোতে জোর দেয়া দরকার। এছাড়া কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টির চেষ্টায় সংকট সমাধানের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য চরম খাদ্য, পানি, জলবায়ু আর নিরাপত্তা সংকটে রয়েছে স্থানীয় জনগণ। তাই বর্ষা মৌসুম শেষে তাদের ভাষাণচরে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির কারণে স্থানীয় জনগণ চরম খাদ্য পানি জলবায়ু এবং নিরাপত্তা সংকটে রয়েছে। এই বর্ষা মৌসুম শেষে বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে ভাষাণচর পাঠাতে চায় সরকার।

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে দু’দফা সম্মত হলেও কথা রাখেনি মিয়ানমার। তাই শুধু দ্বিপাক্ষিক নয় বহুপাক্ষিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সংকটের স্থায়ী সমাধান চায় বাংলাদেশ।

Exit mobile version