Site icon Jamuna Television

বিদায় রাহাত খান: জানাজা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে মিরপুরে দাফন

বিদায় সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খান। জাতীয় প্রেসক্লাবে শেষবারের মত নিথর দেহে আসলেন। পরে নামাযে জানাজায় শরিক হন শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকরা। এসময় তার জীবন ও কর্ম নিয়ে মূল্যায়ন করেন অনুজরা।

তিনদফা জানাজা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তিতুল্য সম্পাদক। জাতীয় প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ ও সরকারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। সাংবাদিক সহকর্মীরা বলেছেন রাহাত খানের বিদায় সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় অপূরণীয় ক্ষতি।

এরপর জাতীয় প্রেসক্লাব, সাংবাদিকদের বেশকটি সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।

এরপর মরদেহ নেয়া হয় রাহাত খানের কর্মস্থল দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ-এর কার্যালয়ে। সেখানে জানাজায় শরিক হন রাহাত খানের সহকর্মীরা। শ্রদ্ধা জানানো হয় সেখানেও। বাদ জোহর মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে তৃতীয় দফা জানাজা শেষে দাফন করা হয় মরদেহ।

এর আগে গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় ইস্কাটন গার্ডেনের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। রাহাত খানের জন্ম ১৯ ডিসেম্বর ১৯৪০ সালে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামে। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

রাহাত খান ছিলেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাশিল্পী। ছোটগল্প ও উপন্যাস এই উভয় শাখাতেই তার অবদান উল্লেখযোগ্য। কর্মসূত্রে তিনি একজন সাংবাদিক। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় তিনি ষাটের দশক থেকে কর্মরত ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৯ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তার সাংবাদিকতা জীবনের হাতেখড়ি। বর্তমানে ছিলেন দৈনিক প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বে।

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। বিখ্যাত সিরিজ মাসুদ রানার রাহাত খান চরিত্রটি তার অনুসরণেই তৈরি করা।

Exit mobile version