Site icon Jamuna Television

করোনাভাইরাস রোধে আরোপিত স্বাস্থ্যবিধির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আরোপিত স্বাস্থ্যবিধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। জার্মানিতে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়ায় ৩শ’র বেশি মানুষকে গ্রেফতার করে প্রশাসন। কট্টর ডানপন্থিদের উস্কানি আর ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ প্রশাসন ও বিক্ষোভকারীদের।

স্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে, শনিবার বার্লিনের বিক্ষোভ করে ৩৮ হাজার মানুষ। এরা আর মাস্ক পরতে চান না; চান না কড়াকড়ি। এদের সন্দেহ ভ্যাকসিন আর ওষুধ কোম্পানিগুলোর স্বার্থে এই আতঙ্ক তৈরি করে রাখা হয়েছে।

এক বিক্ষোভকারী বলেন, “ভাইরাসের অস্তিত্ব অস্বীকার করছি না। কিন্তু বিশ্বের জনসংখ্যা, সে তুলনায় সংক্রমণ আর মৃত্যু দেখলে বোঝাই যাচ্ছে, বিপদের চূড়া আমরা পেরিয়ে এসেছি। এখন তাজা বাতাসে শ্বাস নেয়ার স্বাধীনতা চাই।”

আর এক বিক্ষোভকারী বলেন, “ধনী দেশগুলো দিন দিন যতো ধনী হচ্ছে, নগদ অর্থ আরও বাড়ছে। আমার ধারণা অর্থব্যবস্থায় ধস আর ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় সমাজে এক ধরনের ভয় ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। যে কারণে নতুন ধরনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।”

বেশিরভাগ জায়গায় বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হলেও, সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে কোথাও। হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়। পরিস্থিতির জন্য কট্টর ডানপন্থিদের দায়ী করছে প্রশাসন।

বার্লিনের সিনেটর আন্দ্রিয়াজ জেইসেল বলেন, “শারীরিক বিধিনিষেধের তোয়াক্কা তো নেইই। তার উপর রীতিমতো সহিংস আচরণ করছেন বিক্ষোভকারীরা। তাও স্বাস্থ্যবিধির বিরুদ্ধে! এমন কিছু হবে- পুলিশ আগেই ধারণা করে পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল।”

করোনা মহামারির কারণে নতুন ধরনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডন, প্যারিস, ভিয়েনা আর জুরিখেও। মাস্কে মুখ বন্ধ করে দেয়ার প্রতীক, নতুন স্বাভাবিকতাকে ফ্যাসিবাদের নতুন ধরন বলে এসব বিক্ষোভে শ্লোগানও দেন বিক্ষোভকারীরা।

Exit mobile version