Site icon Jamuna Television

করোনা বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল অস্ট্রেলিয়া-ইউরোপ: ব্যাপক ধরপাকড়

বিশ্বের অনেকে দেশেই দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। অথচ সরকারের জারিকৃত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন অনেকে। ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়, ছড়িয়েছে সহিংসতাও।

অস্ট্রেলিয়ায় এ সহিংসতায় আটক হয়েছেন অনেকেই। ইতালি, ক্রোয়েশিয়া আর স্কটল্যান্ডের বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমেছে আন্দোলন করতে।

রোববার সকাল থেকেই লকডাউনের বিধি ভেঙে ব্রিসবেনে জড়ো হয় হাজারো আন্দোলনকারী। সব ধরণের কড়াকড়ি তুলে নিয়ে নাগরিক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে শ্লোগান দেন তারা। আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয় সিডনি, মেলবোর্ন, অ্যাডিলেইড আর পার্থেও।

গতকাল শনিবার সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয় বর্তমানে দেশটির করোনা বিস্তারের কেন্দ্র মেলবোর্নে। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বাকবিতণ্ডা, এমনকি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন অনেক আন্দোলনকারী। এক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ।

সংঘর্ষের পরেই চলে ধরপাকড়। আটক ও জরিমানা করা হয় বেশ কয়েকজনকে। এ পরিস্থিতিতেও মেলবোর্নে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে দু’সপ্তাহ। তবে কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিলের ঘোষণাও দিয়েছে প্রশাসন।

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলেন, এভাবে আন্দোলন নিরাপদ নয়, বৈধও নয়। এই মুহূর্তে বিক্ষোভে অংশ নেয়া স্বার্থপরতার লক্ষণ। আমাদের একমাত্র প্রতিরোধ হওয়া উচিত ভাইরাসের বিরুদ্ধে। এখনই সব কড়াকড়ি তুলে নিলে তৃতীয় ওয়েভের মুখোমুখি হতে হবে, সন্দেহ নেই। ভাইরাস থেকে সুরক্ষার পথ খুঁজতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার আগে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার বিষয়ে ভাবছি না।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে জানান, কী কারণে এত কড়াকড়ি? এটা এক ধরণের স্বৈরাচারিতা। তারা বোঝাতে চায় মাস্ক পরলেই রেহাই। অথচ মাস্ক কোনো সুরক্ষাই দিতে পারে না।

তারা আরও অভিযোগ করে, আমরা কোভিড নাইনটিনের উপস্থিতি অস্বীকার করছি না। তবে এত কড়াকড়ি অহেতুক। বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে হার্ড ইম্যিউনিটিই বরং কার্যকর পদ্ধতি।

এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে ক্রোয়েশিয়ার জনগণও। রাইটস এন্ড ফ্রিডমস গ্রুপের উদ্যোগে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজারো নাগরিক। জীবনযাপনের স্বাধীনতার দাবি জানান তারা। লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে স্কটল্যান্ডেও।

কোভিড নাইনটিন মোকাবেলায় সরকারের সতর্কতামূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে রোমেও। ইতালিতে সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়লেও, বিধিনিষেধ মানতে রাজি নয় অনেকে।

Exit mobile version