Site icon Jamuna Television

সুদানে বন্যায় নিহত ১০০, ৩ মাসের জরুরি অবস্থা জারি

বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাতে কমপক্ষে ১০০ মানুষ মারা গেছেন আফ্রিকার দেশ- সুদানে। ডুবে গেছে লক্ষাধিক বাড়িঘর। দেশজুড়ে ইতোমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘোষণা করেছেন সুদানের কর্তৃপক্ষ। রোববার, সুদানের প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা কাউন্সিলের বৈঠকের পর দেশজুড়ে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার।

প্রতিবেশী দেশ ইথিওপিয়ায় অতি ভারী মৌসুমী বৃষ্টিপাতের ফলে আগস্ট মাস থেকেই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। ওই সময় নীলনদের জল ১৭.৫ মিটার বৃদ্ধি পায়, যা সুদানের সেচ মন্ত্রণালয়ের মতে এই শতাব্দীর সর্বোচ্চ রেকর্ড।

১৯৮৮ সালের রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে এবছর নীল নদীর জলস্তর। ১৯৮৮ সালের বিধ্বংসী বন্যায় সুদানের বেশ কয়েকটি জায়গায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছিল। বাস্তুহারা হয়েছিলেন প্রায় ১ কোটি মানুষ।
সুদানের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়নমন্ত্রী লিনা আল শেখ দেশের ভয়াবহ বন্যাপরিস্থিতির কথা সংবাদমাধ্যমে জানান। বন্যায় শতাধিক প্রাণহানির পাশাপাশি সারা দেশে ৫ লাকের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ১০ লাখের বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

সেপ্টেম্বরের শেষ অবধি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায়, আগামী সপ্তাহগুলিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সুদান কর্তৃপক্ষ।

গত দু’সপ্তাহের বৃষ্টিতেই যথেষ্ট খারাপ অবস্থা রাজধানী খার্তুমের। নীল নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় অনলাইনে এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন। নগরীর বেশ কয়েকটি জেলায় বাসিন্দারা নিজস্ব উদ্যোগে ব্যারিকেড তৈরি করেন। আটকে থাকা বন্যার পানি বের করে দেওয়ার জন্য খাল কাটতেও দেখা গেছে স্থানীয়দের। বন্যার ফলে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে আটকে রয়েছে সাধারণ মানুষেরা। দুর্গত মানুষজনের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে এবং জলমগ্নদের রাজধানী খার্তুমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছেন সুদান সরকার।

Exit mobile version