
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল জিরো পয়েন্টে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লাইন লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। দিয়াশলাই কিংবা সিগারেটের আগুনের স্পর্শ পেলে দাউদাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে। এর উপর দিয়েই চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের পরিবহন। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছে চালক ও স্থানীয়রা। কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা বিষয়টি জানেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, দিয়াশলাই কিংবা সিগারেটের আগুন পেলে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। পানি পেলে বুদবুদ করছে। প্রায় ৫০-৭০ ফুট জায়গা জুড়ে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। না জেনে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চালকরা এর উপর দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে; আবার অনেক সময় দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। গাড়ি চালকরা জানিয়েছেন, এভাবে রাস্তার উপর দিয়ে গ্যাস বের হতে থাকে তাহলে গাড়ির নিচ দিয়ে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবন রয়েছে।
স্থানীয় শাহীন হোটেলের ম্যানেজার আবদুল আলিম জানান, গত কয়েক মাস ধরে এভাবে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানীর লোকজনদেরকে জানালে তারা বালু ছিটিয়ে দিয়ে চলে যায়। ব্যস্ততম সড়কে গাড়ি ছাড়াও অসংখ্য দোকান রয়েছে। এ অবস্থায় সকলের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ফেনীর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। কারণ মহাসড়কে কাজ করতে গেলে অনুমতি প্রয়োজন আছে। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মেরামত করবো।
ফেনীর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে কীভাবে মেরামত করা যায় সেটি দেখছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে।



Leave a reply