Site icon Jamuna Television

নেতাদের সাথে ছবি তুলে ফাঁদ, জেমির খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার

তার প্রধান অস্ত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। নিরীহ মানুষকে কাবু করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে করতেন নানা ছলচাতুরি। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে তোলা ছবি ব্যবহার করে পেতেছিলেন প্রতারণার অভিনব ফাঁদ। জেমি পারভিন (নাবিয়া) নামের এই প্রতারকের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব সিরাজগঞ্জের হাজারো মানুষ।

এদিকে, গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয় তাকে। জেমিকে গ্রেফতারের পর উঠে আসছে তার নানা অপকর্মের গল্প আর অভিযোগ। ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এতেই জানা যায়, জেমি পারভিনের উত্থান আর অত্যাচারের গল্প।

গণমাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তোলা ছবি ফেসবুকে প্রচারই তার পেশা। জেমি পারভিন ওরফে নাবিয়াকে সিরাজগঞ্জে সবাই চেনে ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী হিসেবে; আবার কারও কাছে তিনি কণ্ঠশিল্পীও।

রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠতা দাবি করে শাহাজাদপুর ও উল্লাপাড়ায় জমিদখল, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে জেমির বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা বলেন, জোরপূর্বক তাদের জমিদখল থেকে শুরু করে নানা রকমের অপরাধ করেছে জেমি। ভুয়া মামলায় হয়রানিও করেছেন অনেককে। আবার কারো কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলাও করেছেন জেমি।

তবে মেয়েকে নিরপরাধ দাবি করছেন জেমির মা সোনাভান খাতুন। বলেন, তার মেয়ে কোনো টাকা নেয়নি। শত্রুরা এসব করছে।

সিরাজগঞ্জ থানার পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম জানান, জেমির বিরুদ্ধে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ নেই। জেমিকে আটকের পর তার সহযোগীদের খোঁজে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Exit mobile version