Site icon Jamuna Television

গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন অস্ত্র ও মাদকসহ আটক

সাভারের আমিন বাজার এলাকার দুর্ধর্ষ গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ও তার দুই সহযোগীকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করেছে র‌্যাব-৪।

বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটে র‌্যাব-৪ এর একটি চৌকস দল সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকার সালেহপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ১৯০ গ্রাম হিরোইন, ৫০০ পিস ইয়াবা এবং দেশীয় অস্ত্রসহ গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিন ও তার ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।

২০০০ সাল থেকে সাভার আমিন বাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাংচিল বাহিনীর; যার প্রধান ছিলো আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। বেশিরভাগ সময় পানিবেষ্টিত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এর নাম দেওয়া হয় গাংচিল বাহিনী। ২০১৭ সালে আনারের মৃত্যুর পর তার সহযোগী সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে গাংচিল বাহিনী। এ বাহিনী মূলত আমিন বাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাঁধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।

দুর্ধর্ষ গাংচিল বাহিনী ২০০২ সালে সাভার থানার ১ জন এসআই কে হত্যা, ২০০৭ সালে ২ জন র‌্যাব সদস্যকে হত্যা, দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট এবং আমিন বাজার এলাকায় নৌ-টহল দলের অস্ত্রলুটের সাথে জড়িত ছিল। এ বাহিনী তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর বালুভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গোতে ডাকাতি ও আমিন বাজার এলাকার শতাধিক ইটভাটা থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতো। এছাড়াও এলাকার প্রভাবশালীদের টার্গেট করে গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করতো। চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ তুরাগ আর বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ছিলো এই বাহিনীর প্রধান কাজ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা সবসময় নদীতে ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে এবং বেশিরভাগ সময় নদীপথে যাতায়াত করে। তাদের যাতায়াতর বাহন ছিলো ডাবল ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। তারা সাভার-আমিনবাজার এলাকার বিভিন্ন ইটভাটার মালিক ও তুরাগ-বুড়িগঙ্গা নদীতে চলাচলকারী বালু ভর্তি ট্রলার মালিকের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করতো। চাঁদা না দিলে নেমে আসতো ভয়াবহ বিপদ।

উল্লেখ্য, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বে সাভার মডেল থানায় খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারির একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

ইউএইচ/

Exit mobile version