Site icon Jamuna Television

ছবিতে যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড় স্যালির তাণ্ডব

সূত্র: ডয়চে ভেলে, ছবি: পিকচার অ্যালায়েন্স।

যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চল আলাবামা এবং ফ্লোরিডায় ঘূর্ণিঝড় স্যালির প্রভাবে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে আশপাশের শহর গুলোতে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে, বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে জর্জিয়া এবং ক্যারোলাইনাতে।

দেশটির জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশির ভাগ কাউন্টিতে ঢুকতে শুরু করেছে পানি। এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে ফ্লোরিডার বিভিন্ন রাস্তাঘাট। বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ঘূর্ণিঝড় স্যালি আছড়ে পড়তেই সমুদ্রের জল উঠে আসে রাস্তায়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি চলতে থাকলে বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যেতে পারে বন্যার জলে। বৃষ্টির ফলে রাস্তাঘাটে আরো তিন ফুট পর্যন্ত জল বেড়ে যেতে পারে। ছবি: পিকচার অ্যালায়েন্স।

অ্যালাবামায় ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় আছড়ে পড়ে। উপগ্রহ চিত্র থেকেই বোঝা যাচ্ছে হ্যারিকেন স্যালির শক্তি কতটা ছিল। অ্যালাবামা, ফ্লোরিডা, মিসিসিপি টের পেয়েছে এই ঝড়ের শক্তি। অ্যালাবামাতে আছড়ে পড়ার পর এই ঝড় চলে যায় ফ্লোরিডা, মিসিসিপির দিকে। ছবি: পিকচার অ্যালায়েন্স।

অ্যালাবামায় নৌকা উড়ে এসে পড়েছে রাস্তায়। ঝড়ের দাপট ছিল এতটাই। অ্যালাবামা, ফ্লোরিডা, মিসিসিপির দশ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই ঝড়ের ফলে। ছবি: পিকচার অ্যালায়েন্স।

ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল বুধবার সকালে। বিকেল পর্যন্ত তার তেজ বজায় ছিল। তারপর তা শক্তি হারায়। তারপরেও ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড় চলেছে। বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি থামেনি। আরো কয়েকদিন ধরে ঝড়-বৃষ্টি চলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছবি: পিকচার অ্যালায়েন্স।

অ্যালাবামা ও মিসিসিপির গভর্নর জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। অ্যালাবামার গভর্নর জানিয়েছেন, বিশাল এলাকা বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে। এরকম বন্যা সাম্প্রতিক সময়ে হয়নি। পানি আরও বৃদ্ধি পেলে ক্ষয়ক্ষতিও পাল্লা দিয়ে বাড়বে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

Exit mobile version