Site icon Jamuna Television

ভুয়া ঠিকানা আর স্বজন বানিয়ে কৌশলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিচ্ছে রোহিঙ্গারা

ভুয়া ঠিকানা আর স্বজন বানিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় নানা কৌশলে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছেন মিয়ানমার ফেরত অনেক রোহিঙ্গা। আর এই কৌশল ধরতে ব্যর্থ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি কিংবা গোয়েন্দা সংস্থাও। বান্দরবানের ১৩ রোহিঙ্গাকে প্রশাসন শনাক্তের পর তাদের এনআইডি বাতিলের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে সার্ভারে এখনও কারও কারও পরিচয়পত্র মিলছে।

মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া বান্দবানের দুর্গম এলাকা ঘুমধূম। এই অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের আনাগোনা তিন দশক ধরে। নানা কৌশলে গড়েছেন বসতিও। এখন লক্ষ্য বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের কাছে গেলে মেলে ধরেন অসংখ্য রোহিঙ্গার নেয়া বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র। জানালেন, তিনিই জব্দ করেছেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রেজু আমতলী এলাকার বাসিন্দা শামসুল আলমকে পিতা বানিয়ে এনআইডি বানিয়েছে রোহিঙ্গা হামিদ হোছেন ও জাহেদ হোছেন। এ ঘটনায় হতবাক শামসুলও।
শামসুল আলম বলেন, আমার কোন ছেলে নাই, কিভাবে রোহিঙ্গারা আমার নাম ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছে তা জানি না।
একই এলাকার নুরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ছিলেন দেশের বাইরে। এলাকায় এসে জানতে পারেন হামিদ হোছেন নামে এক রোহিঙ্গা তাকে পিতা সাজিয়ে সংগ্রহ করেছে জাতীয় পরিচয়পত্র।
আরেক ঘটনায় দেখা যায়, আবদুস সালাম রোহিঙ্গা যুবককে বিয়ে দেন মেয়েকে। তাই বাবা হয়ে জামাইকে বানান বাংলাদেশের নাগরিক। অথচ তিনি মেয়েকে বিয়েই দেননি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থা-সহ ১৪টি সংস্থার বৈঠকে অনুমোদন হলেই কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার কথা। প্রশ্ন উঠেছে এতো সংস্থার চোখে ধুলো দিলো কি করে..?
এনআইডি নেয়া ১৩ রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করে গত জুলাইয়ে পরিচয়পত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলো নির্বাচন কমিশন। কিন্তু অবাক করা বিষয় দুই মাস পরও আইয়ুবুল হক নামে এক রোহিঙ্গার এনআইডি এখনও সার্ভারে।
তবে ঠিক কম রোহিঙ্গার কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version