Site icon Jamuna Television

মিয়ানমারের পেঁয়াজে সমাধান খুঁজছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা

ভারতের পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্তে হঠাৎই বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলেও বিকল্প তৈরি করছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে মিয়ানমার থেকে এসেছে পেঁয়াজের বড় চালান। দেশি পেঁয়াজের মতো দেখতে মিয়ানমারের এই পেঁয়াজেই সমাধান খুঁজছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি বিকল্প আরও ৬টি দেশ থেকে আসছে পেঁয়াজ।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দেশে ঢুকবে আরও কয়েকশ টন মিয়ানমারের পেঁয়াজ। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির উদ্যোগ নেয়া হলে, মিয়ানমারের পেঁয়াজ দিয়েই আপাতত চাহিদা মেটানো সম্ভব। কমে যাবে পেঁয়াজের দামও।

রোববার রাতে, খাতুনগঞ্জের মেসার্স মাবুদ খান এন্ড সন্স আড়তে আসে প্রায় ২৮ টনের মতো মিয়ানমারের পেঁয়াজ। দেখতে অনেকটা দেশি পেঁয়াজের মতো হওয়ায়, একদিনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায় সব।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে সময় লাগে মাত্র ৫ থেকে ৭ দিন। কিন্তু লকডাউনের কারণে মিয়ানমার এই বন্দরটি বন্ধ রাখায় বিকল্প পথ সিঙ্গাপুর বন্দর হয়ে পেঁয়াজ আনতে হচ্ছে এখন। এতে সময় লাগছে ২০ থেকে ২৫ দিন, বাড়ছে খরচও। পরিমাণে বেশি আনা যাচ্ছে না।

তারা বলেছেন, টেকনাফ দিয়ে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা গেলে খুব দ্রুতই বাজারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন বা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য মতে, মিয়ানমারের পাশাপাশি বিকল্প ৬টি দেশ থেকে এর মধ্যেই প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী সংগঠন গুলোর হিসাবে, চাক্তাই খাতুনগঞ্জের প্রায় দেড় শতাধিক আড়তে বর্তমানে মজুত রয়েছে প্রায় ৮ হাজার টন পেঁয়াজ। সঠিক সময়ে পেঁয়াজ চলে আসলে বাজারে সংকট থাকবে না। ভারতীয় পেঁয়াজ ছাড়াই স্থিতিশীল থাকবে বাজার।


Exit mobile version