Site icon Jamuna Television

চাকরি দেয়ার নামে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আটক ১০

ময়মনসিংহ ব্যুরো:

জামালপুর, শেরপুরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেকার-যুবকদের সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগে প্রতারক চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১৪।

আটককৃতরা হলো- নুর হোসেন (৫২), রানা মিয়া (৩০), মমিনুর রহমান (৩২), মুরাদুজ্জামান (২৭), শামীম হোসেন (৪০), আরিফুল ইসলাম (২৯), ফেরদৌস অহিদ তুষার (২৯), মাহাবুর রহমান মুন্সি (৩৭), ফারুক মোল্লা (৪৮) ও বাবুল ওরফে বিজয় (৪৫)।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র‍্যাব-১৪’র প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১৪’র কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরীহ মানুষকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৪ এর আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত পূর্বক ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, টাকা নেওয়ার পরে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার আগে ভুয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে মেডিকেলে নিয়ে যেতো তারা। পরে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ভুয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতো। প্রতারক চক্রের একজনকে প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতো। এরপর পরিকল্পিতভাবে প্রার্থীকে চাকরিতে যোগদানের নির্ধারিত তারিখের ৪ থেকে ৫ দিন আগে নিয়োগপত্র দেখিয়ে চুক্তি মোতাবেক টাকা আদায় করে নিতো।

প্রতারকরা গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ এই দুই মাসে ২২ জনের কাছ থেকে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবত এই প্রতারণার ব্যবসা করে আসছিল। এই সমস্ত প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন।

ইউএইচ/

Exit mobile version