Site icon Jamuna Television

সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের প্রস্তাবে একমত ভারত

বন্ধু রাষ্ট্রের গুলিতে সীমান্তে বাংলাদেশি কেউ মারা যাবে, এটা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য লজ্জার বলে মনে করে বাংলাদেশ। এ অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সীমান্তে বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধের বিষয়ে একমত হয়েছেন। সে জন্য সীমান্তের যেসব এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে, সেখানে যৌথ টহল বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে ঢাকা ও নয়াদিল্লী।

মঙ্গলবার বিকেলে যৌথ পরামর্শক কমিশনের ভার্চুয়াল বৈঠকে তিস্তাসহ অভিন্ন সাত নদীর পানি বন্টন চুক্তি দ্রুততম সময়ে করার ব্যাপারেও একমত হয়েছে প্রতিবেশি দুই দেশ। সেজন্য যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক দ্রুততম সময়ে আয়োজন করা হচ্ছে বলেও জানান ড. মোমেন।

ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজনও চূড়ান্ত করেছেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর করোনাকালে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের সাথে বিমান যোগাযোগ বা “এয়ার বাবল” চালুরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।

এবারের বৈঠকেও সর্বশেষ জেসিসি বৈঠক ও শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং সম্পর্কের অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নয়াদিল্লিতে কমিশনের পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ জেসিসির ষষ্ঠ বৈঠক আয়োজন করার কথা ছিল যেটি এবার ভার্চুয়ালি হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, চলমান মহামারির প্রেক্ষাপটে উভয় পক্ষই স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সরবরাহ, বিতরণ এবং সহ-উৎপাদনের ক্ষেত্রে। ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে ভারতের আশ্বাসের প্রশংসা করেছেন ড. মোমেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর ছাড়াও দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব ও হাইকমিশনাররা ভার্চুয়াল এই বৈঠকে অংশ নেন।

Exit mobile version