রাজশাহীর তানোরে গির্জা প্রাঙ্গনে ফাদার হাউজে স্থানীয় আদিবাসী কিশোরীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে গির্জার পাদ্রী প্রদীপ গ্রেগরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পাদ্রী প্রদীপকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া বিশপ হাউজে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, মঙ্গলবারই তাকে বরখাস্ত করে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ফাদার প্রদীপ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী কিশোরী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছে এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাঝে। তারা বলছেন, অভিযুক্ত ফাদার এর আগেও একই ধরণের অপরাধ করলেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি, ফাদার প্রদীপ এর আগে দায়িত্বে ছিলেন নওগাঁর ধামইরহাট বেনীদুয়ার মিশনে। সেখানেও একই ধরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে তাকে নিয়ে আসা হয় মুণ্ডুমালার এই গির্জায়। শাস্তি না দিয়ে শুধুমাত্র এক গির্জা থেকে অন্য র্গিজায় বদলী করা হয়েছিল।
বিচারের প্রক্রিয়া কঠোর না হওয়ায় এ নিয়ে ক্ষোভ খ্রিষ্ট অনুসারীদের মাঝে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও সর্তক হতে হবে।
২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ির পাশের গির্জার কাছে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরের দিন রোববার তানোর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মেয়েটির ভাই। এরপর সোমবার দুপুরের পর জানা যায়, নিখোঁজ কিশোরী গির্জার ফাদার প্রদীপের ঘরে বন্দী অবস্থায় আছে। পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গির্জা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রাতে ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তানোর থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় ফাদার প্রদীপ গ্রেগরীকে আসামি করা হয়।

